করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টে বিপর্যস্ত ইন্দোনেশিয়া
২৬ জুন ২০২১ ১২:২৭
ইন্দোনেশিয়াতে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) নুতন ভ্যারিন্টের তীব্র সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। যা ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট নামে পরিচিত। শনিবার (২৬ জুন) পর্যন্ত দেশটিতে মোট ২০ লাখ ৫০ হাজার করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। যেখানে দেশটির মোট জনসংখ্যা ২৭ কোটি। এছাড়া জাকার্তাসহ আশপাশের উচ্চ সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া শহরগুলোতে হাসপাতালে রোগী ভর্তির হার ৭৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। খবর আলজাজিরা।
নতুন ভ্যারিয়েন্টের করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ফলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে দেশটি। চিকিৎসা ব্যবস্থাও ধসে পড়ার উপক্রম।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে ওই প্রতেবেদনে বলা হয়, দেশটির রাজধানী জাকার্তার হাসপাতালগুলোতে করোনার রোগীর সংখ্যা ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে অতিরিক্ত রোগীদের চাপ সামাল দিতে হাসপাতালগুলোর বাহিরে জরুরি ভিত্তিতে তাবু নির্মাণ করা হয়েছে। সেখানেই রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
দেশটির উত্তর সুমাত্রার প্রদেশের রাজধানী মেদানের করোনার বিষয়ক টাস্কফোর্সের সদস্য ডা. ইনকে নাদিয়া ডি লুইস জানিয়েছেন, গত ছয় মাসে এক হাজার ৮০০ শিশু করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এসব শিশুদের মধ্যে তিন ভাগেরও বেশি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং চার ভাগ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলে জানিয়েছেন ডা. ইনকে নাদিয়া ডি লুইস।
এদিকে গত শুক্রবার দেশটির প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোডো বলেছিলেন, ইন্দোনেশিয়া অস্বাভাবিক পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে। সঠিক নীতি গ্রহণের মাধ্যমে এই পরিস্থিতি থেকে দ্রুত উত্তরণের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন তিনি।
মহামারি শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত এক হাজার স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় প্রাণহারিয়েছেন। গতকাল শুক্রবার (২৫ জুন) দেশটির মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন জানায়, আক্রান্তদের মধ্যে ৪০১ জন চিকিৎসক রয়েছেন।
চলতি মাসে দেশটির সেন্ট্রাল জাভা প্রদেশে ৩০০ জন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। যাদের সবাই করোনার ভ্যাকসিন নিয়েছেলেন। তাদের মধ্যে ১২ জনেরও অধিককে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে।
দেশটির করোনা প্রতিরোধ কমিটির প্রধান মোহাম্মদ আদিব খুমাইদি জানান, করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে আর কেউ ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন কি না— তা খতিয়ে দেখতে তথ্যগুলো আবারও পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্যকর্মীসহ অন্যান্যদের মাঝে আবারও করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়া চীনের উৎপাদিত ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। যখন আগামী বছর মধ্যে ১৮ কোটি নাগরিককে ভ্যাকসিন প্রয়োগের পরিকল্পনা নিয়েছে। যার জন্য চীনের ভ্যাকসিনের ওপর নির্ভর করছে ইন্দোনেশিয়া।
সারাবাংলা/এনএস
ইন্দোনেশিয়া করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ভ্যাকসিন