জনশক্তি খাত লকডাউন মুক্ত রাখতে মন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি
২৬ জুন ২০২১ ১৯:৩৮
ঢাকা: রেমিট্যান্স যোদ্ধা তথা জনশক্তি প্রেরণ খাতকে বাঁচাতে এটিকে জরুরি সেবা ঘোষণা করে লকডাউন মুক্ত রাখতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে রিক্রুটিং এজেন্সিজ ঐক্য পরিষদ।
শনিবার (২৬ জুন) ই-মেইলে মন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপিটি পাঠানো হয়। সংগঠনটির সভাপতি এম টিপু সুলতান সারাবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
স্মারকলিপিতে কোভিড-১৯ বিশ্ব মহামারি শুরু হওয়ার পর হতে রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের প্রণোদনা প্রদান, দ্রুত করোনা টেস্ট, আন্তর্জাতিক ফ্লাইট সচল রাখা, হোটেল কোয়ারেনটাইন বাবদ ভর্তুকি প্রদান, ভ্যাকসিন প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে ধারাবাহিক উদ্যোগসহ বিভিন্ন সময়োপযোগী পদক্ষেপ নেওয়ায়, মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানো হয়।
জনশক্তি খাত লকডাউন মুক্ত রাখার অনুরোধ জানিয়ে বলা হয়, করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারিতে জনশক্তি তথা রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো শত শত কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে। ২২ বিলিয়ন বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী সেক্টর জনশক্তি পাঠানো খাতকে জরুরি সেবা খাত ঘোষণা করে, বিদেশগামী রেমিট্যান্স যোদ্ধা ও রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো লকডাউন আওতামুক্ত রাখা খুবই জরুরি।
লকডাউনে জনশক্তি পাঠানো খাত বন্ধ থাকলে, লক্ষাধিক ভিসাপ্রাপ্ত কর্মীর বিদেশগমন অনিশ্চিত হয়ে পড়বে উল্লেখ করে স্মারকলিপিতে বলা হয়, ইতোমধ্যে হাজার হাজার কর্মীর টিকেট ও কোয়ারেনটাইন হোটেল বুকিং অফেরতযোগ্য প্রায় ১৫০ কোটি টাকার বেশি ব্যয় হয়েছে। পোশাক কারখানাগুলোকে লকডাউনের আওতায় মুক্ত রাখা হয়েছে। আমরা মনে করি, পোশাকের চেয়েও জনশক্তি প্রেরণ খাত দেশ ও জাতির স্বার্থে অধিক গুরুত্বপূর্ণ।
স্মারক লিপিতে আরও বলা হয়, বন্ধু প্রতিম বিভিন্ন দেশ করোনার মধ্যেও যতদিন কর্মী নিতে চাইবে ততদিন আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু রাখা দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থেই প্রয়োজন।
সারাবাংলা/জেআইএল/পিটিএম