‘৩ বছরের মধ্যে দারিদ্রের হার ১২ শতাংশে নামিয়ে আনতে চায় সরকার’
২৬ জুন ২০২১ ২০:৫৪
ঢাকা: কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আগামী তিন বছরের মধ্যে দেশের দারিদ্রের হার ১২ শতাংশে নামিয়ে আনতে কাজ করছে সরকার। দেশের দরিদ্র ও দুঃস্থ মানুষদের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে নিয়ে আসতে ৬৫টিরও বেশি কর্মসূচি বাস্তবায়ন হচ্ছে। পাশাপাশি ৫০ লাখ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে সরকার। ফলে করোনাকালেও দেশের মানুষের খাদ্য সংকট হয়নি।
শনিবার (২৬ জুন) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে( এফডিসি) ‘প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সামাজিক সুরক্ষায় প্রস্তাবিত বাজেট’ নিয়ে ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন। ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি এ বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
বর্তমানে কোথাও খাদ্যের জন্য হাহাকার নেই বরং জনগণের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের বর্তমান প্রবৃদ্ধিকে ধরতে পাকিস্তানের আরও কমপক্ষে ১২ বছর সময় লাগবে। এছাড়া, শিক্ষা, মাতৃমৃত্যু হ্রাস, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও খাদ্য নিরাপত্তায় বাংলাদেশ ভারত থেকে এগিয়ে রয়েছে। দারিদ্র্যমোচন ও উন্নয়নে বাংলাদেশের এ সাফল্য সারা পৃথিবীতেই প্রশংসিত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও এর প্রশংসা হচ্ছে।’
ড. রাজ্জাক বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেট খুবই যৌক্তিক ও বাস্তবসম্মত। এবারের বাজেটে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ভ্যাকসিন প্রদানে নিশ্চিয়তাসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও কৃষি খাতকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সরকার ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিকাশকে অগ্রাধিকার দিয়েছে, যাতে স্থানীয় পর্যায়ে উদ্যোক্তা তৈরি হয় এবং গ্রামীণ মানুষের কর্মসংস্থান করা যায়। কৃষি আধুনিকীরণ ও কৃষকদের জীবনমান উন্নয়ন সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার। এক্ষেত্রে সরকার নানামুখী ভুর্তকি দিচ্ছে। করোনার প্রকোপ না বাড়লে প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়নে কোনো সমস্যা হবে না।’
ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিতর্ক প্রতিযোগিতায় সরকারি দল হিসেবে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ ও বিরোধীদল হিসেবে প্রাইমএশিয়া ইউনিভার্সিটির বিতার্কিকরা অংশ নেন। প্রতিযোগিতায় ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশকে পরাজিত করে প্রাইমএশিয়া ইউনিভার্সিটি চ্যাম্পিয়ন হয়।
ছায়া সংসদ অনুষ্ঠানে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সামাজিক সুরক্ষা আরও বৃদ্ধিকল্পে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ কিছু সুপারিশ তুলে ধরেন। ভাতার পরিমাণ বৃদ্ধি, সুবিধাভেগীর সংখ্যা বৃদ্ধি, অতি দরিদ্রদের জন্য ঘোষিত নগদ সহায়তার পরিমাণ বৃদ্ধি, সুবিধাভোগী নির্বাচনে আরও স্বচ্ছতা আনা প্রভৃতি।
এছাড়া, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা সামাজিক সুরক্ষা খাত থেকে ‘মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা’ নামে আলাদা খাতে নেওয়ারও সুপারিশ করেন তিনি। পাশাপাশি কৃষি পেনশন প্রবর্তনসহ শক্তিশালী কৃষি কমিশন গঠনেরও প্রস্তাব করেন।
সারাবাংলা/জেআর/পিটিএম