Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বিজেএমসি’র বন্ধ মিলগুলো দ্রুতই চালু হবে: গোলাম দস্তগীর গাজী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২৭ জুন ২০২১ ১৭:২৬

ঢাকা: বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বীরপ্রতীক বলেছেন, বিজেএমসির বন্ধ মিলসমূহ দ্রুততম সময়ে ভাড়াভিত্তিক/ইজারা (লিজ) পদ্ধতিতে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় চালু হবে। বেসকারি ব্যবস্থাপনায় পুনঃচালুকৃত মিলে অবসায়নকৃত শ্রমিকেরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজের সুযোগ পাবেন। একইসঙ্গে এ সব মিলে কর্মক্ষম ও দক্ষ শ্রমিকদের নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। সব শ্রমিককে পর্যায়ক্রমে অবশ্যই পুনর্বাসন করা হবে।

বিজ্ঞাপন

রোববার (২৭ জুন) সচিবালয়ে ‍‍‌‌‘শুদ্ধাচার পুরস্কার,২০২০-২১’ ও মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দফতর/সংস্থার জন্য আগামী অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি, ২০২১-২২ (এপিএ) স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুল মান্নান, অতিরিক্ত সচিব (বস্ত্র) মোহাম্মদ আবুল কালাম, এনডিসিসহ বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং দফতর/সংস্থার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী বলেন, পাট বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ খাত। বাংলাদেশ ঐতিহ্যগতভাবে বিশ্বের সেরা মানের পাট উৎপাদন করে তাই এ পাটের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতে সরকার কাজ করছে। বাংলাদেশের রফতানি বাণিজ্যে চামড়াকে ছাড়িয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পাট খাত। চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম এগার মাসে (জুলাই-মে) পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানি করে বাংলাদেশ ১০৬২.৫৪ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে। যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩৩.২৩ শতাংশ বেশি। আর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২.৫৭ শতাংশ বেশি।

মন্ত্রী আশা করেন বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) প্রত্যেককে কর্মমুখী সংস্কৃতির দিকে ধাবিত করবে। যার মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত হতে সাহায্য করবে। এতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের আধুনিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার কাজ আরও বেগবান হবে।

মন্ত্রী বস্ত্র ও পাট খাতের উন্নয়নের লক্ষ্যে মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সব দফতর/সংস্থা প্রধানকে চাহিদাভিত্তিক ও যৌক্তিক প্রকল্প প্রণয়নের পরামর্শ দেন। এ ছাড়াও তিনি প্রত্যেককে তার নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করে বস্ত্র, রেশম, তাঁত ও পাট শিল্পের হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে উন্নীতকরণে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ এবং সুশাসন সংহতকরণে সদা সচেষ্ট। এ জন্য একটি কার্যকর, দক্ষ এবং গতিশীল প্রশাসনিক ব্যবস্থা গঠনে সরকার কাজ করছে। স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি,সম্পদের ব্যবহার নিশ্চিতকরণ এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা উন্নয়নের জন্য দফতর/সংস্থাসমূহে কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি প্রবর্তনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) এর মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিদের্শনা বাস্তবায়ন এবং সফলতার সঙ্গে দ্রুতগতিতে বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার, ২০১৮ তে বর্ণিত লক্ষ্য ও পরিকল্পনা রূপকল্প ২০২১, টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ট (এসডিজি), ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা এবং সময়ে সময়ে সরকার কর্তৃক ঘোষিত কর্মসূচি বাস্তবায়ন।’

সারাবাংলা/একে

গোলাম দস্তগীর গাজী পাট কল বন্ত্র ও পাটমন্ত্রী বিজেএমসি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর