বিয়ের একদিন পর ইউপি চেয়ারম্যানকে তালাক দিলো কিশোরী
২৭ জুন ২০২১ ১৯:৫০
পটুয়াখালী: বিয়ের একদিন পর অষ্টম শ্রেণির সেই কিশোরী (১৪) তালাক দিলেন পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহিন হাওলাদারকে (৬০)। যিনি বিয়ে পড়িয়েছিলেন তার মাধ্যমেই রোববার (২৭ জুন) সন্ধ্যার দিকে চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারকে তালাক দিয়ে নিজে বাড়িতে ফেরেন ওই কিশোরী।
কিশোরী ও তার বাবা মোবাইল ফোনে সাংবাদিকদের তালাকের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। ইউপি চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারও তালাকের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
ওই কিশোরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘চেয়ারম্যানের কাছে গিয়েছিলাম পছন্দের ব্যক্তিকে বিয়ে করতে কিন্তু বিয়ে করতে হয়েছে চেয়ারম্যানকে। আমি এক রাত চেয়ারম্যানের বাসায় থাকলেও কোনোভাবেই তাকে আমি স্বামী হিসেবে মেনে নিতে পারিনি। চেয়ারম্যান তা বুঝতে পেরে তালাক দেওয়ার ব্যবস্থা করেন।’
কিশোরী স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার প্রেমের টানে বাড়ি থেকে পালিয়ে দুই কিশোর–কিশোরীকে আশ্রয় দেন ইউপি চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার। এরপর শালিসে ৫ লাখ টাকা দেনমোহরে নিজেই বিয়ে করেন চেয়ারম্যান। সালিশে এমন বিচার পেয়ে কিশোরীর সঙ্গে পালানো কিশোর (১৯) আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
১৪ বছরের শিক্ষার্থীকে ৬০ বছরের একজন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিয়ে করার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ও এলাকায় আলোচনার জন্ম দেয়।
ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. শাহিন হাওলাদার বলেন, ‘নিজের ইচ্ছায় মেয়েটি আমাকে বিয়ে করেছে ও তালাক দিয়েছে।’
সারাবাংলা/এমও