ঢাকা: রাজধানীর মগবাজার ওয়ারলেস এলাকায় বিস্ফোরণে ঘটনায় শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর অর্ধশত আহত বার্ন ইনস্টিটিউটে ও ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি রয়েছে। তাদের সবার অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
নিহতদের মধ্যে জান্নাত বয়স (২৩) ও স্বপন (৩৫) দু’জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। বাকি ২ জনের নাম পরিচয় এখনও জানা যায়নি। ওই দুই ব্যক্তি মধ্যবয়সী।
শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. তানভির স্বপনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।
নিহতের ছেলে মো. বিশাল জানান, তারা মগবাজার চেয়ারম্যান গলিতে থাকেন। তার বাবা প্রাইভেটকার চালক।
এর আগে, শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. পার্থ শংকর পাল বলেন, ‘আমাদের এখানে ১১ জন রোগী নিয়ে আসা হয়েছে। এদের মধ্যে ২ জনকে আনার সঙ্গে সঙ্গে মৃত ঘোষণা করতে হয়েছে। বাকিদের ভর্তি রাখা হয়েছে। এদের সবার শরীরেই কাঁটাছেড়ার আঘাত। এছাড়া ৪ জনের শরীরে পোড়া রয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণেই ওই ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।’
এদিকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, ঢাকা মেডিকেলে ৪০ জনকে নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের মধ্যে শিশু ও নারী রয়েছে। তাদের সবার শরীরেই কাটা ছেড়া, গুরুতর আঘাত রয়েছে।
আহত রায়হানুল গাফফার নয়ন জানান, ঘটনার সময় তিনি যাত্রীবাহী বাসে ছিলেন। বিকট বিস্ফোরণের বাসের কাচ ভেঙে তিনি আহত হন।
মগবাজারে এসি বিস্ফোরণে নিহত ৭
আহত এক পথচারী জামাল জানান, তিনি মতিঝিলে একটি হোটেলে চাকরি করেন। সন্ধ্যায় সেখান থেকে বাসে করে মগবাজারের বাসায় ফিরছিলেন। রাস্তায় প্রচণ্ড জ্যাম থাকায় তিনি সিদ্ধেশ্বরীতে বাস থেকে নেমে যান। এরপর রাস্তার পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় বিকট বিস্ফোরণ হয়। সঙ্গে সঙ্গে তিনি রাস্তায় গড়িয়ে পড়েন।
এর আগে, রোববার (২৭ জুন) রাত পৌনে আটটার দিকে ওয়ারলেস গেইটের কাছে আড়ংয়ের পাশের একটি ভবনে বিস্ফোরণ ঘটে বলে ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার এরশাদ হোসেন জানান।
রাতে ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘মোট সাতজন নিহত হয়েছেন। প্রায় ৫০ জন আহত হয়েছে। তাদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’