দেশীয় গবাদিপশু কোরবানির চাহিদা মেটাবে: শ ম রেজাউল করিম
২৭ জুন ২০২১ ২৩:৫৮
ঢাকা: এ বছরও দেশীয় গবাদিপশু দিয়ে কোরবানির সম্পূর্ণ চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। এবার করোনাভাইরাস মহামারি পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে ঈদে কোরবানির সুশৃঙ্খল ব্যবস্থাপনা করা হবে বলেও জানান মন্ত্রী।
রোববার (২৭ জুন) বিকেলে রাজধানীর ফার্মগেটে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে কোরবানির পশুর চাহিদা নিরূপণ, সরবরাহ এবং দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কোরবানির পশুর অবাধ চলাচল ও পরিবহণ নিশ্চিতকরণ সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব তথ্য জানান মন্ত্রী।
তার বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে যাতে কোরবানি হয় সে জন্য স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন শাখার প্রাণিসম্পদ অধিদফতর ও মাঠ প্রশাসন সমন্বিতভাবে কাজ করবে। প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও কাজ করবে। কোনো এলাকায় প্রয়োজন হলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত হবেন। কোনোভাবেই শৃঙ্খলা ভঙ্গ হতে দেওয়া যাবে না। যেখানে যা করা প্রয়োজন, সেটাই করা হবে’।
মন্ত্রী বলেন, ‘কোরবানির পশু পরিবহনে ফেরিতে বা রাস্তায় যাতে সমস্যা না হয় সে বিষয়টি কঠোরভাবে মনিটরিং করা হব। প্রয়োজনে প্রতিকূল অবস্থার সমাধানে তাৎক্ষণিক প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মনিটরিং সেল থাকবে এবং কন্ট্রোল রূম চালু করা হবে। খামারিদের চাহিদার আলোকে সড়ক পথের পাশাপাশি রেলের মাধ্যমেও পশু পরিবহনের ব্যবস্থা করা হবে’।
কোরবানির ব্যবস্থাপনা করোনা পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘কোরবানি দিতে গিয়ে ভয়ংকর পরিস্থতিতে কেউ না পড়ুক, এটাই আমরা চাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চান করোনা মহামারির মধ্যে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কোরবানিসহ অন্যান্য ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা যাতে পালিত হয়। আশা করছি এ বছর কোরবানির ব্যবস্থাপনা অন্যান্য বছরের তুলনায় আরও সুশৃঙ্খল হবে’।
এ বছরও সম্পূর্ণ দেশীয় গবাদিপশু দিয়ে কোরবানির পশুর চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে বলে জানান মন্ত্রী। দেশে চাহিদার তুলনায় উদ্বৃত্ত পশু রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশ থেকে গবাদিপশু আমদানির কোনো প্রয়োজন নেই। সীমান্ত পথে বিদেশ থেকে অবৈধভাবে যাতে গবাদিপশু আসতে না পারে, সে ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে’।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহ্ মো. ইমদাদুল হক, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ডা. শেখ আজিজুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জননিরাপত্তা বিভাগ, স্থানীয় সরকার বিভাগ, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, রেলপথ মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পুলিশ, র্যাব, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দফতরের প্রতিনিধিগণ এবং ডেইরি অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরাও অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া বিভাগীয় কমিশনারগণ, জেলা ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাগণ সভায় ভার্চুয়ালি অংশ নেন।
সারাবাংলা/জিএস/আইই