অফিস খোলা থাকলেও বন্ধ গণপরিবহন, তীব্র ভোগান্তি
২৮ জুন ২০২১ ১১:২৮
ঢাকা: মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সোমবার (২৮ জুন) সকাল ছয়টা থেকে সারাদেশে শুরু হয়েছে লকডাউন। সরকারের ভাষায় সীমিত লকডাউন কিংবা বিধিনিষেধে সব ধরনের গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকলেও খোলা রয়েছে সরকারি ও বেসরকারি অফিস। এতেই তীব্র ভোগান্তিতে পড়েছেন অফিসগামীরা। সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে মানুষের জটলা দেখা গেছে। গণপরিবহন না পেয়ে অনেকেই পায়ে হেঁটে পৌঁছেছেন গন্তব্যে। চলাচলের অনুমতি থাকলেও এদিন সড়কে রিকশার উপস্থিতি ছিল অনেক কম।
ঘোষিত প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, সরকারি-বেসরকারি অফিস/প্রতিষ্ঠানগুলো শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় সংখ্যক কর্মকর্তা-কর্মচারীর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে নিজ নিজ অফিসের ব্যবস্থাপনায় তাদের আনা নেওয়া করতে হবে। কিন্তু রাজধানী ঘুরে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অফিস খোলা থাকলেও তাদের দেওয়া হয়নি পরিবহন। এদিকে বন্ধ রয়েছে গণপরিবহনও। সব মিলিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন তারা।
এদিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনির সদস্যদের তৎপরতাও ছিল চোখে পড়ার মতো। সাধারণ পথচারীদের মাস্ক পরতে বাধ্য করতে দেখা গেছে। বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে মানুষের জটলাও নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা গেছে তাদের। তবে যাত্রীবাহী গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল করছে। সব ধরনের শপিং মল বন্ধ থাকলেও খাবার হোটেল খোলা রয়েছে।
রোববার (২৭ জুন) করোনাভাইরাস সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় সারাদেশে বিধিনিষেধ (লকডাউন) ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সোমবার সকাল ছয়টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত তিন দিনের বিধিনিষেধে পণ্যবাহী যানবাহন ও রিকশা ব্যতিত সব ধরনের যাত্রীবাহী গণপরিবহন বন্ধ থাকার কথা বলা হয়। শপিং মল, পর্যটনকেন্দ্র, কমিউনিটি সেন্টার, রিসোর্ট ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ রয়েছে।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে গত ২১ জুন ঢাকা বিভাগের সাত জেলায় লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। যা ৩০ জুন শেষ হচ্ছে। এছাড়াও ৫ এপ্রিল থেকে সারাদেশে বিধিনিষেধ ঘোষণা করে সরকার। যা ধাপে ধাপে শিথিল করে আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত চলমান রাখা হয়েছে।
সারাবাংলা/জেআর/এএম