গবেষণা বলছে ২ ডোজ কোভিশিল্ডের ব্যবধান ১০ মাস হলে বেশি কার্যকর
২৮ জুন ২০২১ ২১:৫৫
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন কোভিশিল্ডের দুই ডোজের ব্যবধান ১০ মাস বা ৪৫ সপ্তাহ হলে তা আরও বেশি কার্যকর বলে দাবি করেছে নতুন এক গবেষণা। অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন গ্রুপের একদল গবেষক সোমবার জানিয়েছেন, দুই ডোজের ব্যবধান ৪৫ সপ্তাহ হলে শরীরের বেশি অ্যান্টিবডি উৎপন্ন হয়। এছাড়া উভয় ডোজ নেওয়ার ৬ মাস পর একটি বুস্টার ডোজ নিলে তা করোনার সকল ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে বলেও দাবি করা হয়েছে গবেষণায়। রয়টার্সের খবর।
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক অ্যান্ড্রো পোলার্ড বলেন, গবেষণার এ তথ্যটি যেসব দেশে ভ্যাকসিন সরবরাহ কম তাদের জন্য আশ্বাসজনক খবর। অনেক দেশে দ্বিতীয় ডোজ প্রয়োগে বিলম্ব হচ্ছে, তারা হয়ত উদ্বিগ্ন হয়ে উঠছেন।
গত ফেব্রুয়ারিতে অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন গ্রুপ জানিয়েছিল, অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের দুই ডোজের ব্যবধান ৬ সপ্তাহের পরিবর্তে তিন মাস হলে অ্যান্টিবডি বেশি উৎপন্ন হয়। এবার তাদের সর্বশেষ গবেষণায় দেখা গেছে, এ ব্যবধান ১০ মাস হলে আরও বেশি অ্যান্টিবডি উৎপন্ন হয়। এতে আরও দেখা গেছে, দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ছয় মাস পর একটি বুস্টার ডোজ নিলে তা করোনার সকল ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধেই শক্তিশালী প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারে।
তবে তাদের গবেষণা প্রবন্ধ এখনও কোনো পিআর রিভিউ জার্নালে প্রকাশ হয়নি। গবেষণাটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গবেষকরা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এসব তথ্য জানাচ্ছেন।
অধ্যাপক অ্যান্ড্রু জানান, দুই ডোজ ভ্যাকসিন নিলে শক্তিশালী প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে উঠে। অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে ৯০ শতাংশের বেশি কার্যকর। তবে যেসব দেশে ভ্যাকসিনের সংকট রয়েছে বা দ্রুত সংক্রমণ বাড়ছে, সেসব দেশের মানুষকে অন্তত এক ডোজ ভ্যাকসিনের আওতায়ও যদি নিয়ে আসা যায়, তাহলেও অনেকটাই প্রতিরোধ গড়ে উঠবে।
সারাবাংলা/আইই