মগবাজারের বিস্ফোরণ: ময়নাতদন্তের পর ৪ লাশ হস্তান্তর
২৮ জুন ২০২১ ২১:৫৮
ঢাকা: রাজধানীর মগবাজারে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত চার জনের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ চারটি স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সোমবার (২৮ জুন) বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে (ঢামেক) ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে মরদেহগুলো হস্তান্তর করা হয়। যে চার জনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে, তারা হলেন— আবুল কাশেম মোল্লা, মোস্তাফিজুর রহমান, স্বপন ও রুহুল আমিন নোমান।
ঢামেক ফরেনসিক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, প্রতিটি মরদেহেরই পা থেকে মাথা পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে ছিল জখমের চিহ্ন। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ভাঙা কাঁচ বিঁধে গিয়েছিল। এ কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তাদের মৃত্যু হয়েছে। তাদের শরীরে কিছু অংশ আগুনে দগ্ধও হয়েছে।
আরও পড়ুন-
- মগবাজারের বিস্ফোরণে নিহত ৭
- হঠাৎ বিস্ফোরণ, তারপর ধ্বংসস্তূপ [ছবি]
- মগবাজারে বিস্ফোরণ: ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি
- মগবাজারে বিস্ফোরণ: আলামত সংগ্রহ করেছে সিআইডি
- এসি থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা, ধারণা পুলিশ-ফায়ার সার্ভিসের
- মগবাজারে বিস্ফোরণ, দগ্ধ-আহত ১৯ জন ঢামেক হাসপাতালে
- মগবাজারে বিস্ফোরণ: যেকোনো সময় ধসে পড়তে পারে ভবনটি
- মগবাজারে বিস্ফোরণ: হাসপাতালে ৪ জনের মৃত্যু, চিকিৎসাধীন অর্ধশত
- ‘মগবাজারের বিস্ফোরণ তদন্তে বোমা ও স্পেশাল ইউনিটের সমন্বয়ে কমিটি’
ফরেনসিক সূত্র আরও জানিয়েছে, তাদের শরীরে ভাঙা গ্লাসের টুকরো ছাড়া অন্য কিছু পাওয়া যায়নি। এসব কাঁচের টুকরো বের করে সংরক্ষণ করা হয়েছে। এছাড়া ভিসেরাসহ বিভিন্ন আলামতও সংগ্রহ করা হয়েছে।
এর আগে, মরদেহগুলোর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন রমনা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন মজুমদার। তিনি সুরতহালে উল্লেখ করেছেন, মগবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনায় তারা গুরুতর যখম ও দগ্ধ হয়ে মারা গেছেন।
এর আগে, রোববার ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গিয়েছিলেন জান্নাত আক্তার। অন্যদিকে তার ৯ মাস বয়সী সন্তান সুবহানা তৈয়বা মারা যায় মগবাজার কমিউনিটি হাসপাতালে। তাদের দু’জনের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে দেওয়া হয় রাতে।
মগবাজারের বিস্ফোরণে নিহত সপ্তম ব্যক্তির নাম ওসমান গনি তুষার (২৭)। মগবাজার থেকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে ভর্তির পর তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পান্থপথের একটি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়। সেখানেই দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
তুষারের বন্ধু ইমরান হোসেন জানান, তুষারের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের শাহারাস্তি উপজেলায়। মগবাজারের ওয়্যারলেস এলাকায় থাকতেন তিনি। ৭৯ আউটার সার্কুলার রোড, অর্থাৎ যে ভবনটিতে বিস্ফোরণ হয়েছিল সেই ভবনে শর্মা হাউজের শেফ ছিলেন। ঘটনার সময় দোকানেই ছিলেন তিনি। তুষারের মরদেহও তার স্বজনরা নিয়ে গেছেন।
সারাবাংলা/এসএসআর/টিআর