Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা, রাবি উপাচার্যের জিডি

রাবি করেসপন্ডেন্ট
২৮ জুন ২০২১ ২৩:৩৫

নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তা নিয়েও শঙ্কায় আছেন বলে দাবি করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) রুটিন দায়িত্বে থাকা উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনন্দ কুমার সাহা। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে বলেও অভিযোগ তার। আর এসবের পেছনে তিনি দায়ী করেছেন সাবেক রাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আব্দুস সোবহানের সময়ে যারা নিয়োগ পেয়েছেন, তাদের একাংশকে। এসব বিষয় নিয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) দায়ের করেছেন অধ্যাপক ড. আনন্দ।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (২৮ জুন) বিকেলে মতিহার থানায় এসব বিষয় নিয়ে জিডি দায়ের করেন তিনি। জিডিতে এসব আশঙ্কা ও অভিযোগের পেছনে তিনি ওই অধ্যাপক সোবহানের সময়ে নিয়োগ পাওয়াদের একাংশকে দায়ী করেছেন, কয়েকজনের নামও উল্লেখ করেছেন। তার পক্ষে থানায় জিডির আবেদন করেন রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আব্দুস সালাম।

সোমবার বিকেলে মতিহার থানায় ১২৫৯ নম্বর জিডি হিসেবে এটি নথিভুক্ত হয়। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিদ্দিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাধারণ ডায়রির জন্য একটি আবেদন এসেছিল। সেটি জিডি হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে।

জিডিতে রুটিন দায়িত্বে থাকা রাবি উপাচার্য লিখেছেন, সদ্য নিয়োগপ্রাপ্তরা তখন থেকে নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে যোগদানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, তথা আমাকে বারবার চাপ দিতে থাকেন। গত ১৯ জুন সকাল সাড়ে ৯টায় আমার বাসার গেটের সামনে ৫০ থেকে ৬০ জন চাকরিপ্রত্যাশী হট্টগোল করতে থাকেন। এমন পরিস্থিতিতে আমার স্ত্রী-কন্যারা চরম আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। বাসার কম্পাউন্ডের মধ্যে তারা প্রায় দুই ঘণ্টা অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করে রাখেন। সেদিনের বিশৃঙ্খলকারীদের অন্যতম হলেন ফিরোজ মাহমুদ, মতিউর রহমান মূর্তজা প্রমুখ। শুধু তাই নয়, গত ২২ জুন সন্ধ্যা ৬টায় আমার বাসভবনের সামনে কয়েকজন এসে মহড়া প্রদর্শন করেন, তাদের অন্যতম ছিলেন ইন্দ্রনীল মিশ্র ও শাহরিয়ার মাহবুব।

থানায় দেওয়া অভিযোগে বলা হয়, গত ১৯ জুন ফাইন্যান্স কমিটির সভা ও ২২ জুন সিন্ডিকেট সভাও তাদের বাধার কারণে অনুষ্ঠিত হতে পারেনি। গুরত্বপূর্ণ এই দু’টি সভা না হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয়নি। এর ফলে বিশ্ববিদ্যায়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক নিয়ম-শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে এবং আমার ও আমার পরিবারের সদস্যদের জীবন রক্ষার্থে বিষয়টি মতিহার থানায় সাধারণ ডায়েরি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করছি— জিডিতে লিখেছেন অধ্যাপক ড. আনন্দ।

এর আগে, গত ২৬ জুন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়।

সারাবাংলা/টিআর

অধ্যাপক ড. আনন্দ কুমার সাহা থানায় জিডি রাবি উপাচার্য

বিজ্ঞাপন

নামেই শুধু চসিকের হাসপাতাল!
২২ নভেম্বর ২০২৪ ২২:০৬

আরো

সম্পর্কিত খবর