র্যাব ডিজির আহ্বান— সন্তান কী করছে, খোঁজ-খবর রাখুন
২৯ জুন ২০২১ ২০:১১
ঢাকা: সন্তানেরা কোথায় যায়, কী করে— এসব বিষয়ে খোঁজ-খবর রাখতে মা-বাবাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন।
তিনি বলেন, সন্তানের খোঁজ-খবর রাখুন। আদরের সন্তানটি যেন কোনো অপরাধে জড়িয়ে না পড়ে, সেদিকে খেয়াল রাখুন। আদরের সন্তানেরাই কিশোর গ্যাং গ্রুপের সদস্য হচ্ছে, জঙ্গিবাদে নাম লেখাচ্ছে এবং মাদকে অবগাহন করছে। এসব থেকে সন্তানকে রক্ষা করতে চাইলে আগে থেকেই নজরদারি করুন, যেন সন্তান কোনোভাবেই বিপথগামী না হয়।
মঙ্গলবার (২৯ জুন) দুপুরে কুর্মিটোলায় র্যাব সদর দফতরে হলি আর্টিজানের হামলার ৫ বছর স্মরণে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
র্যাব ডিজি বলেন, হলি আর্টিজানে হামলার পর প্রায় দেড় হাজার জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অনেকের বিচার হয়েছে। অনেকে জেলে রয়েছে। অনেকে জামিনে আছে।
২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় নৃশংস ওই জঙ্গি হামলায় ২০ জন দেশি-বিদেশি নাগরিককে হত্যা করে জঙ্গিরা। নিহতদের মধ্যে ৯ জন ইতালি, সাত জন জাপান ও একজন ভারতের নাগরিক। বাকি তিন জন বাংলাদেশি। ওই হামলার পর দেশে জঙ্গিবিরোধী অভিযান জোরদার করা হয়।
র্যাবের ডিজি বলেন, হলি আর্টিজানে হামলার মূল পরিকল্পনাকারী সারোয়ার জাহানসহ অর্থদাতা অনেককেই গ্রেফতার করেছে র্যাব। ওই হামলার আগে থেকে এখন পর্যন্ত আড়াই হাজার জঙ্গিকে র্যাব গ্রেফতার করেছে। তবে কেবল জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে অভিযান নয়, জঙ্গিবাদবিরোধী প্রচারও আমরা চালাচ্ছি।
র্যাবের মহাপরিচালক জানান, জঙ্গিবাদে জড়িত এখন পর্যন্ত ১৬ জন তরুণ-তরুণী আত্মসমর্পণ করেছেন। তাদের পুনর্বাসনে কাজ করছে র্যাব।
বাংলাদেশ জঙ্গিবাদ দমনে বিশ্বে ‘রোল মডেল’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে জানিয়ে চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, র্যা বিশেষ অভিযান চালিয়ে নতুন মাদক আইস, এলএসডির পর ডিএমটি উদ্ধার করেছে। এখন পর্যন্ত ৪৬ হাজারেরও বেশি মাদক কারবারিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। মাদকের বিরুদ্ধে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। একইসঙ্গে রাষ্ট্রবিরোধী উসকানির সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের কাউকেও ছাড় দেওয়া হবে না।
সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটনের ক্ষমতা কি র্যাবের নেই— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে র্যাব ডিজি বলেন, অনেক মামলারই রহস্য উদ্ঘাটন করা যায় না। তবে সাগর-রুনি হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটনে র্যাব কাজ করছে। তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) কে এম আজাদ ও অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) ইমতিয়াজ আহমেদ। এ ছাড়া র্যাবের আরও কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/ইউজে/টিআর