মহামারিতে গণবণ্টন ব্যবস্থা চায় সিপিবি
৩০ জুন ২০২১ ১৮:৩৮
ঢাকা: অতিদ্রুত সবার জন্য করোনা ভ্যাকসিন এবং লকডাউনে খাদ্য সহায়তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি স্বাস্থ্যখাতের অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধের জোরাল দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)।
বুধবার (৩০ জুন) দুপুরে পুরানা পল্টন মোড়ে এক সমাবেশ থেকে এসব দাবি জানানো হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ আলম। বক্তব্য রাখেন সহকারী সাধারণ সম্পাদক কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন, সম্পাদক আহসান হাবিব লাবলু এবং রুহিন হোসেন প্রিন্স। সমাবেশ পরিচালনা করেন সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কাজী রুহুল আমিন।
সভাপতির বক্তৃতায় সিপিবি সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, গত বছর ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী ধরা পড়ে; ২৬ মার্চ থেকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। মানুষও প্রথমদিকে লকডাউন মেনে চলছিল। কিন্তু, সরকার মানুষের খাদ্য-চিকিৎসার নিরাপত্তা দিতে না পারার কারণে লকডাউন ব্যর্থ হয়ে যায়।
করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে সরকারের দায়িত্বহীন আচরণ এই সংকটকে আরও তীব্রতর করছে। তারা যথাসময়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ না নেওয়ার কারণে আজ ভ্যাকসিন সংকট তৈরি হয়েছে। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে লকডাউন দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু, গরিব মানুষের খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়ে সরকার কোনো সরকারি ভূমিকা নেই। তাহলে কি লকডাউন সফল হবে? প্রশ্ন রাখেন সিপিবি সাধারণ সম্পাদক।
গ্রাম-শহরে রেশনিং ব্যবস্থা চালু থাকলে ৫০ ভাগ লকডাউন এমনিতেই সফল হতো। মানুষ বাঁচাতে অবিলম্বে গণবণ্টন ব্যবস্থা চালুর দাবি জানিয়ে শাহ আলম বলেন, যেসব দেশ করোনা মোকাবিলায় পাড়া-মহল্লার মানুষকে সম্পৃক্ত করতে পেরেছে তারাই সফল হয়েছে। সিপিবি বারবার দাবি জানানোর পরও সরকার জনগণ-রাজনৈতিক দলগুলোকে সম্পৃক্ত করে ঐক্যবদ্ধভাবে করোনা মোকাবিলার কোনো উদ্যোগ নেয়নি।
সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, চলতি অর্থবছরের বাজেট হয়েছে কিন্তু অবকাঠামো-গবেষণা খাতে কোনো বরাদ্দ নেই। অন্য খাতে যা বরাদ্দ তা লুটপাট হয়ে যাবে; অন্তত অতীতের ইতিহাস তাই বলে।
প্রশাসনের দিকে ইঙ্গিত করে নেতারা বলেন, জনগণকে শুধু স্বাস্থ্যবিধি মানতে বললেই হবে না। তাদেরকে পর্যাপ্ত মাস্ক-হ্যান্ড স্যানেটাইজারও দিতে হবে।
এছাড়াও, করোনার শুরু থেকে স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতি-অব্যবস্থাপনার দায় নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ বা তাকে বহিষ্কার করা উচিত ছিল। কিন্তু, এখনো তিনি বহাল তবিয়তে আছেন উল্লেখ করে সিপিবি নেতৃবৃন্দ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের বিচার দাবি করেন।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/একেএম