তিস্তার পানি বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই, লালমনিরহাটে বন্যার আশঙ্কা
৩০ জুন ২০২১ ২০:৩৪
লালমনিরহাট: পাহাড়ি ঢলে তিস্তার পানি বেড়ে যাওয়ায় বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে লালমনিরহাট জেলায়। বর্তমানে তিস্তার পানি বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই অবস্থায় আছে। এ অবস্থায় নদীতে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দেওয়ায় আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন নদীর পাড়ের বাসিন্দারা।
বুধবার (৩০ জুন) দুপুরে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প লালমনিরহাটের হাতীবান্ধার তিস্তা ব্যারেজ ডালিয়া পয়েন্টে পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৪৫ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার (বিপৎসীমা ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার) শূন্য দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে ব্যারেজ রক্ষায় ৪৪টি গেট খুলে দেওয়া হয়েছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র জানায়, বুধবার সকাল ৬টা থেকে থেকে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করে। সর্বশেষ দুপুর ১২টায় পানি ৫২ দশমিক ৪৫ সেন্টিমিটার স্পর্শ করে এবং এই পানি ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তিস্তা ব্যারেজ এলাকায় পানি বেড়ে যাওয়ায় তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া ওই এলাকাগুলোতে দেখা দিয়েছে ভাঙন। এছাড়া পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, সিঙ্গামারি, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী ও সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুণ্ডা, ইউনিয়নের নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করেছে। বিশেষ করে গোকুন্ডা এলাকায় তিস্তার ভাঙ্গন প্রবল আকার ধারণ করেছে।
তিস্তা এলাকার বাসিন্দা এমএম জামান শাহীন জানান, তিস্তা নদীর পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এলাকায় ভাঙন বৃদ্ধি পেয়েছে।
মহিষখোচা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোসাদ্দেক হোসেন চৌধুরী বলেন, তিস্তা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় তিস্তার চরাঞ্চলের লোকজন আতঙ্কে রয়েছেন। কুটিরপাড় নামক স্থানে বালুর বাঁধটির অধিকাংশই নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) আব্দুল আল মামুন বলেন, উজানে ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে তিস্তার পানি বেড়ে গিয়ে বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসক মো. আবু জাফর জানান, বন্যার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া আছে। বন্যার্তদের সহায়তা দেওয়ার জন্য শুকনো খাবারও মজুত রয়েছে।
সারাবাংলা/এসএসএ