Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘আঁধার কেটে যাবে, সুদিন আসবে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১ জুলাই ২০২১ ১৪:৫৬

ফাইল ছবি

ঢাকা: নিরাপদ জীবনের জন্য করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে শুরু হওয়া কঠোর বিধিনিষেধের সাময়িক অসুবিধা মেনে নিতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, এ আঁধার কেটে যাবে, সুদিন আসবে। তবে তার আগে ঘরে ঘরে সতর্কতার দুর্গ গড়ে তুলতে হবে। করোনার সংক্রমণ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পৌঁছে যাওয়ায় জনগণের সুরক্ষায় শেখ হাসিনা সরকার বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে কঠোর লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকালে তিনি তার সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংকালে এ আহ্বান জানান।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অসহায়, কর্মহীন মানুষের জন্য সরকারের উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা এবং সামর্থবানদের এগিয়ে আসারও আহ্বান জানান। দেশে নানা দুর্যোগে ও সংকটে প্রধানমন্ত্রী দক্ষতার সঙ্গে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তার সিদ্ধান্ত জনগণের কল্যাণে নিবেদিত। গত কয়েকদিনে করোনায় ধারাবাহিকভাবে শতাধিক মৃত্যু এবং উচ্চমাত্রায় সংক্রমণ ভয়ানক অবস্থার ইঙ্গিত দিচ্ছে। এমন অবস্থায় সচেতনতা ও সতর্কতার সর্বোচ্চ ডিগ্রি অনুসরণ করা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জীবিকার আগে জীবনের সুরক্ষা। অতীতে আমরা জাতি হিসেবে কখনও কখনও কঠিন সময় অতিক্রম করেছি। শেখ হাসিনার মানবিক ও দক্ষ নেতৃত্বে এই কঠিন পরীক্ষায়ও উত্তীর্ণ হব ইনশাআল্লাহ।’

যেকোনো সংকট উত্তরণে প্রয়োজন ধৈর্য্যসহকারে ঐকবদ্ধ থাকা তাই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সবাইকে ঐক্যের মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে স্বাস্থ্য সচেতনতার মধ্য দিয়ে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা করার আহ্বান জানান। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘জীবনের সুরক্ষার অনিবার্য প্রয়োজনেই এ লকডাউন।’

লকডাউনে অনেক অসহায় ও খেটে খাওয়া মানুষ সংকটে পড়েছে। সরকার এ বিষয়ে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন। ত্রাণ সামগ্রী দিতে গিয়ে যাতে নিম্ন আয়ের ও ভাসমান মানুষ কোনোভাবেই বাদ না পড়ে এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও দলের নেতাকর্মীদের যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।

বিজ্ঞাপন

প্রয়োজনে ঘরে ঘরে গিয়ে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দিতে এবং শতভাগ মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘করোনা কাউকে ছাড় দেয় না। কোনো শ্রেণিভেদ মানে না। তাই দলমত নির্বিশেষে সবাইকে করোনা মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’

২০১৬ সালের আজকের দিনে গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে মহান মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক চেতনার বিরুদ্ধে উগ্রবাদীদের তৈরি একটি দুষ্ট ক্ষত উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ইতোমধ্যে সাম্প্রদায়িকতার বিষদাঁত ভেঙে দেওয়া হলেও এই অপশক্তি একেবারে নির্মূল হয়েছে তা বলা যাবে না। দেশের উন্নয়ন অভিযাত্রায় বিষফোঁড়া হয়ে আছে সাম্প্রদায়িক উগ্রবাদ।‘

ওবায়দুল কাদের মনে করেন, হয়তো তারা অতিগোপনে তলে তলে তাদের শক্তিবলয় বাড়াচ্ছে। তাদের নীরবতা অন্য কোনো ভয়াবহ ইঙ্গিতও হতে পারে। তবে এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক রয়েছে। ওবায়দুল কাদেরের দাবি, উগ্রবাদের বিরুদ্ধে জনগণের মাঝে একটি ঐক্য তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে সামাজিক প্রতিরোধ তারই প্রমাণ।

বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সাম্প্রদায়িকতার মূলোৎপাটনের মাধ্যমে একটি বিজ্ঞান মনস্ক আধুনিক রাষ্ট্র তথা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠাই বর্তমান সরকারের অঙ্গীকার বলে উল্লেখ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

সারাবাংলা/এনআর/পিটিএম

আঁধার আসবে ওবায়দুল কাদের টপ নিউজ সুদিন

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

বিপদসীমার ওপরে পানি, ৪৪ জলকপাট খোলা
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:০৬

তৃতীয় দিনের খেলাও পরিত্যক্ত
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৪:৫৪

সিটিকে সরিয়ে শীর্ষে লিভারপুল
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:২০

পদ্মায় কমেছে পানি, থামছে না ভাঙন
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৩:১৯

সম্পর্কিত খবর