আগারগাঁওয়ে রাস্তা ফাঁকা, অলিগলি ও স্থানীয় বাজারে মানুষের ভিড়
১ জুলাই ২০২১ ১৬:১৫
ঢাকা: করোনা নিয়ন্ত্রণে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধের প্রথম দিনে রাজধানীর আগারগাঁও, শেরেবাংলা নগর ও তালতলা এলাকায় পুলিশের তৎপরতা নেই বললেই চলে। সকাল থেকেই এমনিতেই ফাঁকা রয়েছে এলাকাগুলো। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রিকশা, বাইসাইকেল, মোটরবাইক ও কিছু প্রাইভেট কারে মানুষজনদের চলাচল করতে দেখা গেছে। কিন্তু সেটি অন্যান্য দিনের মতো চিরচেনা দৃশ্যপট নয়। বিধিনিষেধের কারণে এই এলাকা বলতে গেলে অনেকটাই ফাঁকা। তবে অলিগলি ও স্থানীয় বাজারে অন্যান্য দিনের মতো মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সরেজমিন দেখা যায়, প্রধান সড়কের কোথাও পুলিশের চেকপোস্ট নেই। তবে অলিতে গলিতে ভ্রাম্যমাণ পুলিশের সামান্য তৎপরতা চোখে পড়েছে। এ সময় দায়িত্বরত পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তারা কথা বলতে রাজি হননি। তবে কথা হয় রিকশাচালক আজিজের সঙ্গে। সারাবাংলাকে তিনি বলেন, ‘পেট ভাত না থাকলে ঘরে বইসা কি করুম।’ এ সময় একটি বেসরকারি অফিসে কর্মরত নিরাপত্তাকর্মী রাশেদুল জানান, তার অফিস বন্ধ থাকলেও নিরাপত্তাজনিত কারণে তাকে ডিউটিতে যেতে হচ্ছে। তবে রিকশা ভাড়া গুনতে হচ্ছে দ্বিগুণ। তিনি বলেন, ‘শেওড়া পাড়া থেকে শ্যামলী যেতে রিকশাভাড়া স্বাভাবিক সময় ১২০ টাকা নিলেও আজ গুনতে হচ্ছে ২৫০ টাকা। সামান্য যা বেতন পাই সেটি যদি রিকশাওয়ালাদের দিতেই চলে যায়, তাহলে আমাদের মাস চলবে কিভাবে?’
এদিকে আগারগাঁওয়ের তালতলা বাজার, বউবাজার, শেওড়াপাড়াসহ আশপাশের কাঁচাবাজারগুলো ক্রেতাদের ভির লক্ষ্য করা গেছে। এছাড়া অলিতে গলিতে ভ্যানে সবজি বিক্রি চলছে অন্যদিনের মতোই স্বাভাবিক। পাড়ার মুদি দোকানগুলোও খোলা রয়েছে। অধিকাংশ ক্রেতা বিক্রেতার মুখে মাস্ক দেখা যায়নি। এ সময় কথা হয় মুদি দোকানি শহীদের সঙ্গে। তিনি সারাবাংলাকে বলেন, ‘দীর্ঘ সময় মাস্ক পড়ে থাকাটা সম্ভব হচ্ছে না। এ জন্য কোনো কোনো সময় মাস্ক খুলে রাখছি।’
প্রধান সড়কগুলোতে মাঝে মাঝে দুয়েকটি পুলিশের ভ্যান যাতায়াত করতে দেখা গেছে। এছাড়া মেট্রোরেলের কর্মীদের কোনো কোনো রাস্তা বন্ধ করে বসে থাকতে দেখা গেছে। এটি লকডাউনের কারনে নয়, বরং রুটিন কাজের অংশ বলে জানিয়েছেন তারা।
তালতলা মোল্লাপাড়ায় অবস্থিত বউ বাজারে ব্যাপক লোকসমাগম চোখে পড়ে। এ সময় করোনা প্রতিরোধে সচেতনতার বিষয়টি চোখে পড়েনি। অন্যদিনের মতোই স্বাভাবিক কেনাকাটা করেছেন ক্রেতারা। এ সময় গৃহবধু রহিমা বেগম জানান, প্রতিদিন এই বাজার থেকে সবজি ও মাছ কেনেন তিনি। আজও এসেছেন। তবে মুখে মাস্ক না থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বাসার একেবারে নিচেই বাজার হওয়ায় মাস্ক পরিনি।’
সারাবাংলা/জেজে/পিটিএম