বিধিনিষেধে নেতাকর্মীদের খেটে খাওয়া মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান
১ জুলাই ২০২১ ১৯:৫৮
ঢাকা: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারের জারি করা বিধিনিষেধের কারণে কর্মহীন লাখো মানুষ। এসব খেটে খাওয়া মানুষের পাশে দাঁড়াতে দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। একইসঙ্গে এই সময়ে বিধিনিষেধ মেনে চলতে সবাইকে অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) মিন্টু রোডের সরকারি বাসভবনে সীমিত পরিসরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে মন্ত্রী এ কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, জনগণের স্বাস্থ্যসুরক্ষার স্বার্থে, এই করোনার হাত থেকে রক্ষা করতে সরকার লডকডাউন ঘোষণা করেছে। তাই দেশবাসীকে বিনীতভাবে অনুরোধ জানাই— নিজের, পরিবারের এবং দেশের স্বার্থে সরকার যে নির্দেশনা দিয়েছে, তা পালন করুন।
করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট অনেক বেশি শক্তিশালী, সংক্রামক এবং বিধিনিষেধের ব্যত্যয় হলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে— এ কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ড. হাছান বলেন, ‘সরকার এই লকডাউন কখনো প্রলম্বিত করতে চায় না। কিন্তু জনগণের স্বাস্থ্যসুরক্ষার জন্যই এ ব্যবস্থা নিতে হয়েছে। দীর্ঘদিন লকডাউন সমাধান বলেও আমরা মনে করি না। সবাই যদি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন, তাহলে আমাদের পক্ষে করোনাকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।
করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, দলের ৮১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটির পাঁচ জন নেতা করোনা সংক্রমণ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন, অনেক নেতা আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া আওয়ামী লীগের ১২৫ জনেরও বেশি সংসদ সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের অনেকে এবং দলের সাত থেকে আটশ নেতাকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন।
বিধিনিষেধ চলাকালে খেটে খাওয়া মানুষের পাশে দাঁড়াতে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ড. হাছান বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার আহ্বানে সাড়া দিয়ে আমাদের দলের নেতাকর্মীরা সবসময় জনগণের পাশে ছিল, আছে। অতীতের মতো এখনো খেটে খাওয়া মানুষেরর পাশে থাকার জন্য তাদের আহ্বান জানাই।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি দু’জন নির্বাহী সদস্যের পদত্যাগের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল সাহেব কয়েকদিন আগে ‘পলায়ন’ সম্পর্কে একটি কথা বলেছিলেন। এখন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে সবাই আস্তে আস্তে পালাচ্ছে। বিএনপি যে পলায়নপর, তার প্রমাণ হচ্ছে এই দু’জনের পদত্যাগ।
ডা: জাফরুল্লাহ প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, জাফরুল্লাহ সাহেব বিএনপির সামান্য সমোলোচনা করায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে তার দিকে বিএনপির নেতাকর্মীরা যেভাবে তেড়ে গেল, এতেই প্রমাণ হয় বিএনপির নিজেদের মধ্যেই গণতান্ত্রিক চর্চা নেই।
সারাবাংলা/জেআর/টিআর