Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সরবরাহে ব্যর্থ চাল কল মালিকদের তালিকা দিতে খাদ্যমন্ত্রীর নির্দেশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১ জুলাই ২০২১ ২৩:২৬

ঢাকা: ধান মজুদকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে জেলায় বাজার মনিটরিং কমিটির কার্যক্রম জোরদার করতে জেলা প্রশাসকদেরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, অবৈধ মজুদদারদের তথ্য জেলা প্রশাসন ও খাদ্য মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে চাল কল মালিক নেতাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকালে ঢাকায় তার সরকারি বাসভবন থেকে চাল কল মালিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাজারে চালের দাম বৃদ্ধি অযৌক্তিক। প্রয়োজনে বেশি কর ছাড় দিয়ে খাদ্যশস্য আমদানি করা হবে।’

মানবিক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে চাল কল মালিকদের প্রতি মন্ত্রী বলেন, ‘নূন্যতম লাভে বাজারে চাল সরবরাহ করুন।’

এ সময় চুক্তি মোতাবেক চাল সরবরাহে ব্যর্থ চালকল মালিকদের তালিকা প্রস্তুত করতে খাদ্য অধিদফতরের প্রতি নির্দেশনা দেন তিনি।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুমের সভাপতিত্বে কৃষি বিপনন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক বাবলু কুমার সাহা বক্তব্য রাখেন। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন জেলা হতে চাল কল নেতারা মতামত তুলে ধরেন। এ সময় তারা মধ্যেই শতভাগ চাল সরবারহের অঙ্গীকার করেন।

নওগাঁ জেলার অটো চাল কল মালিক সমিতির বেলাল আহমেদ বলেন, ‘অনেক প্রতিষ্ঠান চাল প্যাকেটজাত করছেন, বাজারে সেগুলো বেশি দামে বিক্রয় হচ্ছে। আবার অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীও এখন ধান মজুদ করছে উচ্চ দামে বিক্রির আশায়।’

তিনি বলেন, ‘আমদানির মাধ্যমে সরবরাহ বাড়ানো হলে মজুদ করা ধান বাজারে আসতে শুরু করবে চালের দামও নেমে আসবে।’

বিজ্ঞাপন

চাঁপাইনবাবগঞ্জের এরফান গ্রুপের স্বত্বাধিকারী মো. এরফান আলী বলেন, ‘ফুড গ্রেইন লাইসেন্স ছাড়া অনেকেই ধানের মজুদ করেছেন। বাজারে ধানের সংকটের কারণে মিল মালিকরা ধান কিনতে পারছেন না। ফলে চুক্তি অনুযায়ী অনেক চাল কল মালিক খাদ্য গুদামে সময়মতো চাল দিতে পারছেন না।’ এ সময় তিনি অবৈধ মজুদদারীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানান।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সংগ্রহ ও সরবরাহ) খাজা আব্দুল হান্নান সভায় উল্লেখ করেন, ৩০ জুনের মধ্যে চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ৭৫ শতাংশ ছিলো। করোনা মহামারি ও সাম্প্রতিক অতি বৃষ্টিতে সংগ্রহ অভিযান ব্যাহত হয়েছে। ৩০ জুন পর্যন্ত সিদ্ধ চাল সংগ্রহ হয়েছে ৫৭ শতাংশ এবং আতপ চাল ৪৬ শতাংশ।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, খাদ্য অধিদফতরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা ও মিল মালিক প্রতিনিধিরা এ সময় ভার্চুয়ালি সভায় যুক্ত ছিলেন।

সারাবাংলা/জিএস/একে

করোনা কোভিড-১৯ চাল কল নভেল করোনাভাইরাস মিল মালিক

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর