Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

কোম্পানীগঞ্জে আ.লীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৭

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
২ জুলাই ২০২১ ১১:৩৭

নোয়াখালী: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে রাতের আঁধারে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, সংঘর্ষ, গুলি ও ককটেল বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় কমপক্ষে সাত জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও তিন জন।

বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) রাত ১০টায় উপজেলার চরএলাহী বাজার থেকে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এক পর্যায়ে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে চরএলাহী ইউনিয়নের চরএলাহী গ্রামের কয়েকটি বাড়িতে। এতে সাত জন গুলিবিদ্ধসহ কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে সাত জনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

গুলিবিদ্ধদের মধ্যে চর এলাহি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল গণি সমর্থিতরা হলেন— চরএলাহী ৪ নম্বর ওয়ার্ডের হেলাল মেম্বারের ছেলে মো. রুবেল (২৫), মৃত আব্দুল খালেক মেম্বারের ছেলে বাহার উদ্দিন (৩৬), সিরাজ আলমের ছেলে সবুজ (৩৮), জইধর মিয়ার ছেলে ইউসুফ (৩৩), মো. বেলালের ছেলে ফিরোজ (২৪) ও জামাল উদ্দিনের ছেলে ইলিয়াছ (২২)। এছাড়া আব্দুর রাজ্জাক সমর্থিত আহতরা হলেন— মহরম আলী চেয়াম্যানের ছেলে রিয়াদুল ইসলাম রাজু (২৮), মো. সামছুল হকের ছেলে আবদুর রহিম (২০) ও গোলাপ মাওলার ছেলে মো. রানা (২০)। এরা সবাই চরএলাহী ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।

চরএলাহী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার অনুসারী এবং চরএলাহী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগে আবদুল গণি ও আব্দুর রাজ্জাকের সমর্থকদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক কোন্দল রয়েছে। সেই কোন্দলের জের ধরেই বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় আবদুল গণির অনুসারীরা প্রথমে চরএলাহী বাজারে ককটেল বোমা বিস্ফোরণ ঘটান। তারা চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাকের কয়েকজন অনুসারীকে মারধর করে চরএলাহী বাজারে অবস্থান নেওয়ার চেষ্টা করেন। পরে রাজ্জাক চেয়ারম্যানের অনুসারীরা সংঘবদ্ধ হয়ে গণির অনুসারীদের ওপর পাল্টা হামলা চালালে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, গুলি ও ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।

আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল গণি অনুসারী চরএলাহী ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হেলাল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক, তার ভাই খোকন, জব্বর, শাহীন ও কালামের নেতৃত্বে তার বাড়িসহ আরও তিনটি বাড়িতে হামলা চালানো হয়। এসময় হামলাকারীরা গুলি করলে আমাদের সাত জন গুলিবিদ্ধ হয়।

তবে আরেক গ্রুপের নেতৃত্বে থাকা আব্দুর রাজ্জাকের ভাই আব্দুল আজিজ খোকন দাবি করেন, তার ভাই রাজ্জাক চেয়ারম্যান এলাকায় নেই। এই হামলার সঙ্গে তিনি, তার পরিবার বা কোনো অনুসারী-সমর্থক জড়িত নন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা আবদুল গণির নির্দেশে তার ভাই কামাল, বেলাল, নবী ও হেলাল মেম্বার প্রথমে চরএলাহী বাজারে ককটেল হামলা চালিয়ে আতঙ্ক ছড়ায়। একপর্যায়ে আমাদের কয়েকজন অনুসারীকে মারধর করে। তারা আমাদের অনুসারী ধনুর বাড়িতে এবং আরও কয়েকটা বাড়িতে হামলা চালিয়ে লুটপাট করে। এতে আমাদের তিন জন আহত হয়েছেন।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুদ্দিন আনোয়ার বলেন, দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৬/৭ জন আহত হওয়ার খবর শুনেছি। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সারাবাংলা/টিআর

২ গ্রুপের সংঘর্ষ কোম্পানিগঞ্জ আওয়ামী লীগ গুলিবিদ্ধ ৭

বিজ্ঞাপন

খুলনায় যুবকের পেটে মিলল ইয়াবা
২২ নভেম্বর ২০২৪ ১২:০২

আরো

সম্পর্কিত খবর