ঢাকা: নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চীনের সিনোফার্ম থেকে বাংলাদেশ সরকারের কেনা ২০ লাখ ডোজের মধ্যে ১০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন দেশে এসে পৌঁছেছে। শুক্রবার (২ জুলাই) দিবাগত রাত ১২টা ৩৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছে ভ্যাকসিনের এ চালানটি।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের সম্প্রসারিত ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচির (ইপিআই) পরিচালক এবং জাতীয় কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন পরিকল্পনার সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক সারাবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, একটি বিশেষ ফ্লাইটে সিনোফার্মের ১০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন রাত ১২টা ৩৫ মিনিটে বিমানবন্দরে এসে পৌঁছেছে। বাকি ভ্যাকসিন আরেকটি ফ্লাইটে সকালে আসার কথা রয়েছে। এই ভ্যাকসিন বিমানবন্দর থেকে বিশেষ ফ্রিজার ভ্যানে তেজগাঁওয়ের ইপিআই স্টোরেজে নিয়ে রাখা হবে।
এর আগে উপহার হিসেবে দুই দফায় বাংলাদেশকে ১১ লাখ ভ্যাকসিন দিয়েছিল চীন। এবার বাংলাদেশ সরকারের কেনা ভ্যাকসিনও দেশে এসে পৌঁছেছে।
উল্লেখ্য, গত ২৯ এপ্রিল নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশে চীনে উদ্ভাবিত সিনোফার্মা ভ্যাকসিন জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর। চীনের রাষ্ট্রীয় ভ্যাকসিন উৎপাদক প্রতিষ্ঠানের সিনোফার্মের এ ভ্যাকসিনটি জরুরি ব্যবহারের জন্য গত ৭ মে অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও।
এদিকে শুক্রবার রাতে দেশে আরও একটি বড় ভ্যাকসিনের চালান এসে পৌঁছেছে। রাত ১১টা ২২ মিনিটে মার্কিন প্রতিষ্ঠান মডার্নার সাড়ে ১২ লাখ ভ্যাকসিন নিয়ে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ইকে-৫৮৪ ফ্লাইটটি বাংলাদেশের হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
এসব ভ্যাকসিন আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করার জন্য বিমানবন্দরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলমসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন