ঢাকা: একদিকে দেশে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ, অন্যদিকে নগদ টাকা নিয়েও ভ্যাকসিন না পেয়ে বিপাকে সরকার। এই অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা পাওয়ায় ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
শুক্রবার (২ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টায় যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে পাওয়া মডার্নার তৈরি ১৩ লাখ ভ্যাকসিন ঢাকায় পৌঁছায়। এসব ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উপস্থিত হন স্বাস্থ্যমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আমেরিকা রাষ্ট্রদূত।
জাহিদ মালেক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্র খুবই বন্ধুপ্রতীম দেশ। যুক্তরাষ্ট্রে আমরা সবচেয়ে বেশি রফতানিও করে থাকি। এই দুঃসময়ে এই সহযোগিতাটা প্রয়োজন ছিল। যুক্তরাষ্ট্র সবসময় তার সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে এটা আশা করি।
আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে ১০ কোটি ভ্যাকসিনের ডোজ আসবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে এখন আমরা ১২ লাখ ভ্যাকসিন পেলাম। কয়েক ঘণ্টা পর আরও ১৩ লাখ ভ্যাকসিন পাব। এগুলো মডার্নার ভ্যাকসিন। আমরা জোরেসোরে ভ্যাকসিন প্রদান শুরু করেছিলাম। মাঝখানে কাঙ্ক্ষিত ভ্যাকসিন পাইনি। এখানে একটু সমস্যা হয়েছে।
তিনি জানান, দেশে ডিসেম্বরে ১০ কোটি ভ্যাকসিন আসবে। ৫ কোটি লোককে ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে।
করোনাভাইরাসে বিভিন্ন দেশের অর্থনীতি ধ্বংস হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভ্যাকসিনের মাধ্যমে আমরা দেশকে রক্ষা করতে পারব।
সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, ভ্যাকসিনের সাথে সাথে মাস্ক পরতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। তাহলে ভ্যাকসিন প্রয়োগে আমরা দেশকে রক্ষা করতে পারব, দেশের মানুষকে বাঁচাতে পারব।
এ সময় উপস্থিত পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের প্রত্যেকটি নাগরিকের জন্য ভ্যাকসিন কেনার নির্দেশ দিয়েছেন, অর্থ নিয়ে কোন সমস্যা নেই।
গতরাত থেকে শনিবার (২ জুলাই) সকাল পর্যন্ত ৪৫ লাখ ডোজ টিকা এসেছে দেশে। এর মধ্যে মর্ডানার ২৫ লাখ আর সিনোর্ফামের ২০ লাখ। মর্ডানার প্রথম চালান আসে রাত সাড়ে ১১টায় (২৫ লাখ ডোজের অর্ধেক)। সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে আসে বাকি অর্ধেক।
এছাড়াও রাত সাড়ে ১২ টায় বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে চীনের প্রথম চালের ১০ লাখ, আর ভোর সাড়ে পাঁচটায় বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ দ্বিতীয় ফ্লাইটে আরও ১০ লাখ (মোট ২০ লাখ) ডোজ টিকা এসেছে।