ক্রেতা না থাকায় ফুলগুলোর ঠিকানা হলো ডাস্টবিন

ঢাকা: ফুলগুলো স্থান পেতে পারতো কোনো ললনার চুলের খোঁপায়, অফিসের বড় কর্তার টেবিলে কিংবা কোনো তরুণের ভালোবাসার মানুষটির হাতে। কাজে আসতে পারতো বিবাহ-জন্মদিনের অনুষ্ঠানে। হতে পারতো পূজাও। কিন্তু কোনোটাই ভাগ্যে জুটলো না এসব ফুলের। ক্রেতার অভাবে জায়গা হলো ময়লার ডাস্টবিনে। আর বিক্রেতার চোখে তো আরও বেশি। তাদের ভাষ্যমতে, এগুলো শুধু ফুলই নয়, তাদের জীবিকা।

শনিবার (৩ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁও এলাকার পাইকারি ফুলের দোকান ঘুরে দেখা যায় অসংখ্য ফুল ফেলে দেওয়ার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে ক্রেতা না থাকায় পঁচে গেছে ফুলগুলো।

একটি দোকানের কর্মচারী সিবু বলছিলেন, গত দুইদিনে একটি ফুলও বিক্রি হয়নি। অনুষ্ঠান, বিয়ে-সাদি সবকিছু বন্ধ থাকায় ফুল বিক্রি করতে পারি নাই। তাই এখন ফেলে দিতে হচ্ছে।

কথা হয় শেরেবাংলা নগর ফুল চাষী ও ফুল ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলমের সঙ্গে। তিনি সারাবাংলাকে বলেন, প্রতিদিন ৫ লাখ টাকার ফুল কেনাবেচা হয় এই বাজারে। সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান দেখিয়ে কঠোর লকডাউনের সময় আমরা ফুল নিয়ে আসি নাই। কৃষিপণ্য হিসাবে ফুল বিক্রি স্বাভাবিক রাখা সম্ভব হলেও সেটি করা হয়নি।

তিনি বলেন, করোনায় ফুল চাষী ও ব্যবসায়ীরা ব্যাপক ক্ষতি শিকার হয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, আজ বাজার পরিস্কার করতে এসে হৃদয় ভেঙে যাচ্ছে। যে ফুল আমাদের খাবার যোগায়, সেই ফুল এখন ফেলে দিতে হচ্ছে।

আরেক ব্যবসায়ী জানান, আগামীকাল রবিবার থেকে নতুন করে ফুল আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ফুল আনলেও বিক্রি হবে কিনা সেই চিন্তায় রয়েছি।

সারাবাংলা/জেজে/এএম