বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে প্রয়োজনে পাড়ার অলিগলিতেও অভিযান হবে: র্যাব
৩ জুলাই ২০২১ ১৫:১০
ঢাকা: করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ রোধে সরকারি কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে লোকজনকে ঘরে রাখতে এবং স্বাস্থ্যবিধি মানাতে প্রয়োজনে পাড়া-মহল্লার অলিগলিতেও অভিযান চালানো হবে বলে জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
শনিবার (৩ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর রাসেল স্কয়ারে বিধিনিষেধে র্যাবের কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যেও যারা বাইরে বের হচ্ছেন তাদের অনেকেই সঠিকভাবে মাস্ক পড়ছেন না। সচেতন করার পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে আমরা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছি।
বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে র্যাব এখন পর্যন্ত ৪ শতাধিক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে উল্লেখ করে কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, লকডাউনের নিয়ম না মানায় দেশব্যাপী ৪ শতাধিক মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে চার লক্ষাধিক টাকা জরিমানা করা হয়েছে। দেশজুড়ে নিয়মিত টহল ও চেকপোস্টের বাইরে চার শতাধিক অতিরিক্ত চেকপোস্ট পরিচালনা করে যারা স্বাস্থ্যবিধি মানছেন তা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, পাড়া-মহল্লায় টহল পরিচালনা করার সময় দেখেছি, অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। বিভিন্ন স্টলে-দোকানে গণজমায়েত দেখা গেছে। তাই সবার প্রতি অনুরোধ, পরিবারের কথা বিবেচনা করে হলেও এই কয়েকদিন করোনার ঝুঁকিপূর্ণ সময়টাতে ঘরে থাকুন। অন্যথায় আমরা মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেব।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি এখানে আসার আগে ১০টি চেকপোস্ট পর্যালোচনা করেছি, পাড়া-মহল্লায় গিয়েছি। আপনারা যথার্থই বলেছেন, পাড়া-মহল্লায় অনেকেই স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। আজ থেকে পাড়া-মহল্লায় স্পেশাল অভিযান পরিচালনা করা হবে। নাগরিকদের অনুরোধ করব পাড়া-মহল্লায় আপনারা জমায়েত হবেন না।
বিধিনিষেধের প্রথম দুই দিন র্যাবের কার্যক্রম নিয়ে তিনি বলেন, প্রথমদিন বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সারাদেশে ১৮২ জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আর জরিমানা করা হয়েছে প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। দ্বিতীয় দিন শুক্রবার (২ জুলাই) সারাদেশে ২২০ জনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি জরিমানা করা হয়েছে আড়াই লক্ষাধিক টাকা। প্রথম দুই দিনের প্রেক্ষাপটে গতকাল চেকপোস্ট বেশি ছিল। যারা নির্দেশনা মানছেন না, তাদের কাউকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, এখন বিশেষ পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছে। যারা জরুরি প্রয়োজনে বাইরে বের হচ্ছেন, তাদেরকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ করছি। অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সবাইকে ঘরে থাকার অনুরোধ করছি।
সারাবাংলা/ইউজে/এসএসএ