রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে কোল ইয়ার্ড নির্মাণে কয়লা পাঠাল ভারত
৩ জুলাই ২০২১ ১৭:৫৩
ঢাকা: খুলনার বাগেরহাটের রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কোল ইয়ার্ডের মেঝে তৈরির জন্য ভারত থেকে কয়লা আমদানি করা হচ্ছে। সে কয়লার প্রথম চালান পাঠিয়েছে ভারত। শুক্রবার (২ জুলাই) পাঠানো কয়লা চলতি সপ্তাহেই বাংলাদেশে পৌঁছানোর কথা রয়েছে।
সূত্র জানায়, বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বিদেশ থেকে কয়লা আমদানি করে যেখানে রাখা হবে, সেই স্থানটিকে কোল ইয়ার্ড বলে। সেই কোল ইয়ার্ড তৈরির জন্য কয়লা দেবে ভারত। রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষ বলছে, এটি খুবই নিম্মমানের কয়লা। এই কয়লা মূলত এটি ইয়ার্ড কার্পেটিংয়ের জন্য ব্যবহার করা হবে।
এ প্রসঙ্গে রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী আফসার উদ্দীন সারাবাংলাকে বলেন, ‘রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুই ইউনিটের চারটি কোল ইয়ার্ড নির্মাণ করা হবে। সেখানে ৪৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লার প্রয়োজন হবে। সেখানে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য কয়লা রাখা হবে। কোল ইয়ার্ড নির্মাণের জন্য ভারত থেকে কয়লা আমদানি করা হচ্ছে। যার প্রথম চালান ভারত পাঠিয়ে দিয়েছে।’
তিনি জানান, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে ভারতীয় কোম্পানি ভারত হেভি ইলেকট্রিক কোম্পানির (ভেল) সঙ্গে যে ইপিসি চুক্তি হয়েছে তাতে কোল ইয়ার্ড তৈরির কথা বলা হয়েছে।
সূত্র জানায়, সুন্দরবনের কাছে বাগেরহাটের রামপালে ভারতের এনটিপিসি ও বাংলাদেশের পিডিবির যৌথ উদ্যোগে ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ভারতের ঝাড়খন্ডের ধানবাদ থেকে কয়লা আনা হচ্ছে। কয়লা রফতানিকারক গোদাবরি কমোডিটিজ শুক্রবার (২ জুলাই) কলকাতার শ্যামা প্রসাদ মুখার্জি এসএমপি বন্দরের এসএমপি নেতাজি সুভাষ ডক থেকে প্রায় চার হাজার মেট্রিক টন কয়লা বাংলাদেশে রফতানি করা হয়েছে।
সুত্র মতে, ৩ হাজার ৮০০ মেট্রিক টনের প্রথম চালান কলকাতা বন্দরে খালাসের পর বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য নির্ধারিত ক্যাপটিভ জেটিতে নিয়ে যাওয়া হয়। যা এ সপ্তাহের যেকোনো দিন রামপালে পৌঁছে যাবে। জানা যায়, এসএমপি কলকাতা থেকে প্রতিমাসে ২০ হাজার মেট্রিক টন ভারতীয় কয়লা বাংলাদেশে আসবে।
উল্লেখ্য, বাগেরহাটের রামপালে ১ হাজার ৩০০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ভারতের সঙ্গে যৌথভাবে নির্মাণ করছে বাংলাদেশ। যার একটি ইউনিট আগামী ডিসেম্বরে চালুর কথা রয়েছে।
এদিকে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ বন্ধের দাবিতে সোচ্চার পরিবেশবাদীরা। তাদের বক্তব্য, রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ হলে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র ও পরিবেশের ভীষণ ক্ষতি হবে। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সুন্দরবন এবং পরিবেশ রক্ষায় সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। মোট ২০০ কোটি ডলার ব্যয়ে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে ১৬০ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছে ভারতের এক্সিম ব্যাংক।
সারাবাংলা/জেআর/পিটিএম