৪৮ বছরেও হয়নি ব্রিজ, ভেঙে গেছে একমাত্র সাঁকো
৪ জুলাই ২০২১ ১৮:১৯
পঞ্চগড়: স্বাধীনতার ৪৮ বছর পার হলেও চাওয়াই নদীর ওপর এখনও নির্মিত হয়নি ব্রিজ। তাই পঞ্চগড় সদর উপজেলার সাতমেরা এবং ১নং ওমর খানা বোর্ড বাজারের পশ্চিম রাস্তার পাশের সেলিল্যান্ট টি এস্টেটের সাঁকোই ছিল সাতমেরা ইউনিয়নের ১০টি গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র উপায়। ‘মরার উপর খাঁড়ার ঘা’ হিসেবে গত শনিবার সেই সাঁকোও ভেঙে পড়েছে। আর এ দুর্ভোগের ঘানি টানছে দুই ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ।
বর্ষা মৌসুমে সাতমেরা ইউনিয়নের খইপাড়া, ডাঙ্গাপাড়া, ফকিরপাড়া, সরকার পাড়া, পখিলাগা থেকে ১নং ওমর খানা ইউনিয়নের বাসিন্দাদের একমাত্র যাতায়াতের পথ চাওয়াই নদীর সাঁকো। দীর্ঘদিন ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ না থাকায় স্থানীয়রা প্রথমে নিজেদের টাকা ও চাঁদায় প্রথমে বাঁশ দিয়ে সাঁকোটি নির্মাণ করেন।
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘দেশ স্বাধীন করেছি স্বাধীন ভাবে চলাফেরার জন্য। অথচ ব্রিজের অভাবে ধান, পাট, অন্য ফসল বাজারে বিক্রি করতে হলে আমাদের গুয়ালঝার বাজার দিয়ে প্রায় ২০ কিলোমিটার ঘুরে যেতে হয়। অথচ চাওয়াই নদীর ওপর ব্রিজ হলে এই দুর্ভোগের অবসান হবে।’
আরেক মুক্তিযোদ্ধা খইপাড়ার মো. আব্দুর জলিল বলেন, ‘আমি ৩৫ বছর ধরে এই চাওয়াই নদী দিয়ে যাতায়াত করি। যখন সাঁকো ছিল না বাড়ি থেকে বোর্ড বাজার, পঞ্চগড় শহরে বা জগদল বাজার যেতে ব্যাগে লুঙ্গি, গামছা নিয়ে নদী পারাপার করতে হতো। বারবার ব্রিজের দাবি জানিয়েও সাড়া মেলেনি।’
সাতমেরা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান বলেন, ‘ব্রিজ নির্মাণের জন্য বেশ কয়েক বার সাবেক ও বর্তমান এমপিদের কথা বলেছি এবং স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী, জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী, এলজিডি কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কাজ হয়নি। বর্তমানে সাঁকোর অর্ধেক অংশ ভেঙে পরায় ১০টি গ্রামের সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি সরজমিনে এসে সাঁকো নির্মাণের জন্য সরকারি বরাদ্দ দিয়ে দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য বলেছেন।’
পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফ হোসেন বলেন, ‘সাঁকোটি সরজমিনে পরিদর্শন করে সরকারি বরাদ্দ দিয়ে দ্রুত নির্মাণ কাজ শেষ করে চলাচলের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
সারাবাংলা/এমও