এসডিজি অর্জনে স্বাস্থ্য খাতে উৎসাহভিত্তিক নীতিমালা প্রয়োজন
৪ জুলাই ২০২১ ১৯:৫৯
ঢাকা: আদেশ ও নিয়ন্ত্রণভিত্তিক নীতিমালা নয়, এসডিজি লক্ষ্য অর্জনে স্বাস্থ্য খাতে প্রয়োজন উৎসাহভিত্তিক নীতিমালা। বুধবার (৩০ জুন) আয়োজিত এক ওয়েবিনারে বক্তারা এ মত দেন।
সিম্প্রিন্টস টেকনোলোজি, নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় এবং ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সহযোগিতায় ইনোভিশন কনসালটিং লিমিটেডের ‘বাংলাদেশ মিরাকল’ সিরিজের অংশ হিসেবে ওয়েবিনারটি আয়োজিত হয়। দেশের স্বাস্থ্য খাত নিয়ে আয়োজিত সিরিজের দ্বিতীয় ওয়েবিনারটির বিষয় ছিল— ‘বাংলাদেশ কি স্বাস্থ্য খাতের এসডিজি অর্জনের পথে আছে? স্বাস্থ্যখাতের দৃষ্টিভঙ্গি’।
ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক কাওসার আফসানা। তিনি বলেন, ‘এসডিজিগুলো একে অন্যের সঙ্গে সম্পর্কিত, তাই একইসঙ্গে সব ক্ষেত্রে মানোন্নয়নের প্রয়োজন।’
ড. ফিরদাউসি কাদরি বলেন, ‘বাংলাদেশের তৃণমূলের স্তরে ইমিউনাইজেশন, ভ্যাকসিনেশন, মা ও শিশু স্বাস্থ্য এবং এবং পরিবার পরিকল্পনার প্রসারেই বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাত এতদূর আসতে পেরেছে।’
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ বেসরকারি খাতের ওপর বেশি নির্ভর হয়ে পড়তে পারে বলে উদ্বেগ জানান অধ্যাপক ড. রুমানা হক। তিনি আরও বলেন, ‘এই মহামারিতে জনগণের মানসিক স্বাস্থ্য প্রভাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া পরিবার পরিকল্পনার অবক্ষয় হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অসংক্রামক ব্যাধি দেশে বেড়ে যাওয়ার মতো বিষয়ও ঘটতে পারে।’
পাবলিক হেলথ ফাউন্ডেশনের ভাইস চেয়ারম্যান ড. তৌফিক জোয়ারদার বলেন, ‘বেসরকারি খাত স্বাস্থ্য খাতের একটি অপরিহার্য অংশ। কিন্তু এই খাতের জন্য আরও আধুনিক এবং উৎসাহভিত্তিক নীতিমালা তৈরির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘উৎসাহভিত্তিক নীতিমালা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নতুনত্ব আনতে, কাজের মান নিশ্চিত করতে এবং সাম্য প্রতিষ্ঠা করতে অনুপ্রাণিত করবে।’
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. হাসান মাহমুদ রেজা বলেন, ‘স্বাস্থ্য খাতের উন্নতির জন্য ফার্মাসিস্টদের ভূমিকা অপরিহার্য।’
চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের পরিচালক ড. সেঁজুতি সাহা বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের জন্য মাঠ পর্যায়ের তথ্যের ওপর নির্ভর করে নীতিমালা বানানো আবশ্যক। তারপর সব পর্যায়ের নির্ধারকদের এই নীতিমালা সম্পর্কে জানানো উচিত এবং তাদের নীতিমালা বাস্তবায়নে একসঙ্গে কাজ করা উচিত।’
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক ড. গৌড় গোবিন্দ গোস্বামী বলেন, ‘এসডিজির লক্ষ্য গুণগতভাবে এমডিজি লক্ষ্য থেকে ভিন্ন ও উন্নত। তাই কেবল পরিমাণগত উন্নয়নের ওপর জোর না দিয়ে গুণগত উন্নয়নের ওপর জোর দেওয়া উচিত।’
সিমপ্রিন্টস টেকনোলোজি লিমিটেডের কান্ট্রি ডিরেক্টর মো. আসাদ-উর-রাহমান নাইল বলেন, ‘বাংলাদেশে হেলথ ইনফরমেশন সিস্টেমগুলো ঠিকমতো ব্যবহার করা হয় না। বাংলাদেশে ডিজিটালাইজেশন অনেক ধীরগতিতে হচ্ছে। সে কারণে বাংলাদেশ এর সুবিধা নিতে পারছে না।’
ওয়েবিনারটির মডারেটর হিসেবে ছিলেন ইনোভিশন কনসালটিং লিমিটেডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. রুবাইয়াথ সারওয়ার। ‘বাংলাদেশ মিরাকল’ সিরিজটি একটি সমন্বিত ক্যাম্পেইন, যেটি আয়োজন করা হয়েছে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে। এই সিরিজ ইনোভিশন কনসালটিংয়ের পার্টনার হিসেবে আছে উইন্ডমিল অ্যাডভারটাইজিং, সারাবাংলা ডটনেট, কালারস ১০১.৬ এফএম, নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যায়ের ইয়াং ইকোনমিস্টস ফোরাম, প্রিন্টাগ্রাফি, কেয়ার বাংলাদেশ, আইসিসিও বাংলাদেশ, গেইন বাংলাদেশ, ওয়াটারএইড বাংলাদেশ, নেক্সটজেনএডু, বিআইআইডি, পাঠাও এবং এমপাওয়ার।
সারাবাংলা/এজেড/টিআর