Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বৃষ্টিতেই ধসে পড়লো ‘মুজিববর্ষের ঘর’

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
৫ জুলাই ২০২১ ১৭:৩৩

মুন্সীগঞ্জ: গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের বড় রায়পাড়া গ্রামের মুজিববর্ষ উপলক্ষে গৃহহীনদের মাঝে বরাদ্দকৃত একটি ঘরের কিছু অংশ ভেঙে পড়েছে। এছাড়া ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে আরও কয়েকটি ঘর।

এ অবস্থায় কাজের মান এবং ঘর নির্মাণের স্থান নির্বাচন নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন। বড় বায়পাড়ায় ২৮টি গৃহহীন পরিবারের মধ্যে এসব ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সরোজমিনে প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণে গত শুক্রবার সকালের দিকে ২৭ নাম্বার ঘরের বারান্দার কিছু অংশ এবং একটি কলাম ভেঙে পড়ে। ঘরের নিচ থেকে মাটি সরে যাওয়ার কারণে এমনটা হয়েছে। পাশের ২৮ নম্বর ঘরটিরও একই অবস্থা। ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে একই সারির অন্তত ৬টি ঘর।

ভেঙে যাওয়া ঘরটির মালিক ওমর আলী। এ বিষয়টি সম্পর্কে জানতে তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি।

স্থানীয়রা জানান, প্রকল্পের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে থাকলেও স্থান নির্বাচন এবং কাজের মান নিয়ে রয়েছে বিস্তর প্রশ্ন। অধিকাংশ ভবনের দেয়াল থেকে উঠে গেছে প্লাস্টার, কয়েকটি ভবনের মেঝে থেকে উঠে আসছে কংক্রিট। সরকারি অনেক খাস জমি থাকার পরও গজারিয়া উপজেলার অধিকাংশ ঘর নির্মাণ করা হয়েছে নদীর ধারে। যেকোনো সময় বন্যা এবং বৃষ্টিপাতে যেগুলো নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে।

ঘর বরাদ্দ পাওয়া কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, তারাও এখানে নিয়মিত থাকবেন না, শুধুমাত্র প্রশাসনের ভয়ে দিনের বেলায় এসে ঘোরাফেরা করেন। এখানে না থাকলে ঘর বরাদ্দ বাতিল হয়ে যাবে এই ভয়ে থেকে অনেকে সকালে রান্না করে নিয়ে এসেন দুপুরে থেকে বিকালে অন্যত্র চলে যান। বিশুদ্ধ খাবার পানি এবং রান্না করার ব্যবস্থা না থাকায় আপাতত এখানে থাকা সম্ভব নয় বলেও জানান তারা।

বিজ্ঞাপন

গজারিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তাজুল ইসলাম জানান, বৃষ্টির ফলে একটি ঘরের নিচের মাটি সরে যাওয়ায় তার কিছু অংশ ও একটি কলম ভেঙে পড়েছে। ইতিমধ্যে তার দফতর বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করেছে।

গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিয়াউল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘কয়েকদিনের টানা বর্ষণে একটি ঘরের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা মেরামতের জন্য উদ্যোগ নিয়েছেন তারা। এসব ঘরের ভিত্তি বেশি গভীর নয় বলে এ সমস্যাটি হয়েছে।’

ঘর নির্মাণে কোনো অনিয়ম হয়নি উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘সরকারি গাইডলাইন মেনে ঘরগুলো নির্মাণ করা হয়েছে। কয়েকটি পরিবার সেখানে থাকা শুরু করেছে। শিগগিরই সেখানে বিশুদ্ধ পানিসহ অন্য সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করা হবে যাতে সবগুলো পরিবার সেখানে থাকা শুরু করতে পারেন।

সারাবাংলা/এমও

ঘর নির্মাণ টপ নিউজ ধস বৃষ্টি ভাঙন ঝুঁকি মুজিববর্ষ

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর