।। স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।
ঢাকা: ময়মনসিংহের ভালুকায় সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) চার শিক্ষার্থীই মারা গেলেন।
বৃহস্পতিবার (২৯ মার্চ) রাত দেড়টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে মারা যান হাফিজুর রহমান। পরে শুক্রবার সকাল ৯টা দীপ্ত সরকারকেও মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। হাফিজুরের গ্রামের বাড়ি নওগাঁ জেলায়। তার বাবার নাম বিল্লাল হোসেন।
এর আগে বুধবার রাতে বিস্ফোরণের ঘটনায় ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাহীন মিয়া মারা যান। বিস্ফোরণের সময় ঘটনাস্থলেই মারা যান তৌহিদুল ইসলাম।
ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটের আবাসিক চিকিৎসক পার্থ শংকর পাল জানিয়েছেন, বিস্ফোরণে হাফিজুরের শরীরের ৫৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। আর দীপ্তর শরীরের ৪৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। এ ঘটনায় দগ্ধ চারজনকেই বাঁচানো গেল না।
বিস্ফোরণে নিহতরা সবাই খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) বস্ত্র প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী ছিল। তারা ইন্টার্ন শিপ করার জন্য স্কয়ার ফ্যাশন লিমিটেড নামের পোশাক কারখানায় শিক্ষানবিশ প্রকৌশলী হিসেবে যোগ দেন। কারখানার পাশে তারা একটি ফ্লাট বাসা ভাড়া নিয়েছিলেন। গত ২৪ মার্চ রাত ১টার দিকে ময়মনসিংহ ভালুকার একটি বহুতল ভবনে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। এতে চার জন দগ্ধ হয়। তাদেরকে উদ্ধার করে সেদিন ঢামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন
ভালুকায় বিস্ফোরণ: দগ্ধ হাফিজুরও মারা গেলেন
সারাবাংলা/এসআরএস/এমএইচ