নেতাকর্মীদের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান সেতুমন্ত্রীর
৬ জুলাই ২০২১ ১৬:৩৮
ঢাকা: দুর্যোগে পরস্পরের পাশে দাঁড়ানোর মধ্য দিয়েই মানুষের মানবিকতা ফুটে ওঠে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তাই সরকারের পাশাপাশি দলীয় নেতাকর্মী, জনপ্রতিনিধি ও সামর্থ্যবান ব্যক্তিদের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান তিনি।
মঙ্গলবার (৬ জুলাই) সকালে নিজ সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংকালে সেতুমন্ত্রী এই আহবান জানান।
এ বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, যেকোনো মহামারি রোধে প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম ব্যবস্থা। তাই করোনা মহামারি থেকে সুরক্ষা পেতে সকলের সর্বোচ্চ মাত্রার সচেতনতার মধ্য দিয়ে প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। সামান্য অবহেলা বা উদাসীনতা শুধু নিজে নয়— পুরো পরিবারকে চিরচেনা জগৎ থেকে ছিটকে দিতে পারে।
প্রতিদিনই করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। সারাদেশেই ছড়িয়ে পড়েছে সংক্রমণ। হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে রোগীর চাপ। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জনস্বার্থ ও জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং ঝুঁকি মোকাবিলায় শেখ হাসিনা সরকার চলমান কঠোর বিধিনিষেধ আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়েছেন।
এ অবস্থায় অসহায় ও খেটে খাওয়া মানুষের আর্থিক এবং খাদ্য নিরাপত্তায় সরকার নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছে। আসন্ন ঈদে প্রায় এক কোটি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের।
এ সময় নদীর পানি বৃদ্ধিতে বন্যার শঙ্কা প্রকাশ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে (উত্তরাঞ্চলে) কয়েকটি নদীর পানি প্রবাহ বেড়ে বন্যার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। যে সব এলাকায় পানি প্রবাহ বেড়েছে সে সব এলাকায় বন্যার সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এবং জনগণের ভোগান্তি কমাতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
এমতাবস্তায় সরকারের পাশাপাশি বন্যা কবলিত এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদেরও সাধারণ মানুষের পাশে থাকার আহবান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি আরও বলেন, দুর্যোগ এবং সঙ্কটে আওয়ামী লীগই সবার আগে জনগণের পাশে দাঁড়ায়। যারা মিডিয়ায় কথার ঝড় তোলেন তারা জনগণের দুঃখ-দুর্দশা থেকে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করেন।
বিএনপি নেতাদের মেগা প্রকল্পের বরাদ্দ কমিয়ে করোনার জন্য অর্থসংস্থানের কথা বলা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, করোনার জন্য সরকার পর্যাপ্ত বরাদ্দ রেখেছে। এক্ষেত্রে অর্থসংস্থানের কোনো ঘাটতি নেই এবং হবেও না। করোনার ভ্যাকসিন সংগ্রহসহ সকল সম্ভাব্য ব্যয় মেটাতে প্রধানমন্ত্রী বিধি-বিধান প্রতিপালন সাপেক্ষে অত্যন্ত উদার বলেও জানান তিনি।
এ সময় বিএনপির সমালোচনা করে সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের সক্ষমতা দেখাতে পারেনি। তাই এখন মেগা প্রকল্পের বিরোধিতায় নেমেছে দলটি। তারা দেশের উন্নয়ন চায় না। তারা ক্ষমতায় থাকাকালে উন্নয়নের নামে শুধু লুটপাট করেছে।
তিনি আরও বলেন, দেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতা এখন অনেক শক্তিশালী। বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। আর প্রবাসী আয় বেড়ে ২৪ দশমিক সাত-আট বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। করোনাকালেও রফতানি আয় বেড়েছে। তাই মেগা প্রকল্পের বরাদ্দ কাটছাটের উদ্ভট প্রস্তাব উদ্দেশ্যমূলক।
সারাবাংলা/এনআর/এনএস