Tuesday 26 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘ঢাবিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত স্বায়ত্তশাসনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়’

ঢাবি করেসপন্ডেন্ট
৬ জুলাই ২০২১ ১৭:২৯

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে একজন অধ্যাপকসহ তিন জনকে জরিমানার খবর চাউর হয়েছে গণমাধ্যমে। তবে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ম্যাজিস্ট্রেট নিজেই সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, কোনো অধ্যাপককে তিনি জরিমানা করেননি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হলেও যেকোনো ফৌজদারি অপরাধের ক্ষেত্রে যেকোনো স্থানেই নিজের বিচারিক ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। আর ঢাবি প্রক্টরও বলছেন, রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত প্রয়োগের ক্ষেত্রে ঢাবিতে এভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (৫ ‍জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশানের (ডিএসসিসি) আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মেরিনা নাজনীন। সোমবার রাতেই বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ পায়, মাস্ক না পরা ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ না করার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অধ্যাপকসহ তিন জনকে জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেরিনা। তবে ম্যাজিস্ট্রেট নিজেই জানাচ্ছেন, জরিমানা করা হয়েছিল দুই জনকে। কোনো অধ্যাপককে জরিমানা করা হয়নি।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ম্যাজিস্ট্রেট মেরিনা নাজনীন মঙ্গলবার (৬ জুলাই) সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমি ক্যাম্পাস হয়ে বাসায় ফিরছিলাম। এসময় দেখতে পাই, অনেকেই ক্যাম্পাস এলাকায় আড্ডা দিচ্ছেন। মাস্ক পরার জন্য বেশ কয়েকজনকে তাগাদা দিলে তারা মাস্ক পরে নেন। আইন লঙ্ঘন করায় দু’জন মোটরসাইকেলচালককে জরিমানা করি।’

ঢাবি অধ্যাপককে জরিমানা করা বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ সঠিক নয় জানিয়ে মেরিনা নাজনীন বলেন, ‘কোনো অধ্যাপককে আমি জরিমানা করিনি। ঘটনাস্থলের পাশেই বিশ্ববিদ্যালয়ের চীনা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের আফজাল স্যার উপস্থিত ছিলেন। তার কাছেও ঘটনাটি জেনে নিতে পারেন।’

পরে চীনা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. আফজাল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দেওয়া তথ্য নিশ্চিত করেন। অধ্যাপক আফজাল সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমি দূরে দাঁড়িয়ে ছিলাম। তবে কোনো অধ্যাপককে জরিমানা করতে দেখিনি। দুয়েকজন মোটরসাইকেলচালককে তিনি জরিমানা করেছেন।’

এদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনায় মুখর হয়েছেন অনেকেই। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএসসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেরিনা নাজনীন বলেন, ‘আমার সামনে কোনো ফৌজদারি অপরাধ হলে সে বিষয়ে যেকোনো ব্যবস্থা অবশ্যই আমি নিতে পারি। মোবাইল কোর্ট যেকোনো জায়গায় সবার জন্যই সমান।’

ঢাবি ক্যাম্পাসে ভ্রাম্যমাণ আদালতের এমন কার্যক্রমকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয় বলেই মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রব্বানী। জানতে চাইলে তিনি সারাবাংলাকে বলেন, ‘বর্তমানে একটি মহামারি পরিস্থিতি চলছে। এই পরিস্থিতিতে যে যেখানেই থাকুক না কেন, সবাইকে মাস্ক পরার নির্দেশনা দেওয়া আছে। এটি রাষ্ট্রীয় জরুরি মুহূর্তের সিদ্ধান্ত। রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্তের সঙ্গে স্বায়ত্তশাসনের বিধানের সংঘর্ষের কোনো বিষয় নেই।’

সারাবাংলা/আরআইআর/টিআর

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভ্রাম্যমাণ আদালত মেরিনা নাজনীন স্বায়ত্তশাসন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর