রাশিয়ায় যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত, সব আরোহী নিহত
৬ জুলাই ২০২১ ১৯:০৫
মঙ্গলবার (৬ জুলাই) নিখোঁজ হয়ে যাওয়া রাশিয়ার যাত্রীবাহী বিমানটির ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে। দুই ইঞ্জিনের অ্যান্টোনভ-২৬ মডেলের বিমানটি রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলে বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে বিমানে থাকা ২৮ জন আরোহীর সবাই নিহত হয়েছেন।
আরটি নিউজের খবরে বলা হয়েছে, কামচটকা উপত্যকার উপরে নিখোঁজ হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরে কামচটাকা অ্যাভিয়েশন এন্টারপ্রাইজের পরিচালক আলেক্সি খ্রব্রভ জানিয়েছেন, বিমানের ধ্বংসাবশেষের খুঁজ পেয়েছেন তারা। তবে বিমানটি কী অবস্থায় বা কী কারণে বিধ্বস্ত হলো সে ব্যাপারে কোনো তথ্য জানানো হয়নি। আগামীকাল বুধবার আরও বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে মঙ্গলবার যাত্রীবাহী বিমানটি রাশিয়ার কামচটাকা উপত্যকার উপর দিয়ে উড়ার সময় রাডারসহ সকল প্রকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এতে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল বিমানটি হারিয়ে ফেলে। রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা রিয়া নভোস্তির খবরে বলা হয়, ওই বিমানে ২৮ জন আরোহীর মধ্যে ৬ জন ক্রু এবং এক বা দুই শিশু ছিল।
কামচটাকা অঞ্চলের পালানা উপকূলীয় এলাকায় বিমানটি হারিয়ে গিয়েছিল। ফলে পালানার সমুদ্র এলাকায় জাহাজের একটি বহর নিখোঁজ বিমানটির সন্ধান করে। এছাড়া বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার ও উদ্ধারকারী বিমানও হারিয়ে যাওয়া উড়োজাহাজের সন্ধানে নিযুক্ত হয়। কয়েক ঘণ্টা পরে এর ধ্বংসাবশেশ পাওয়া যায়। ফলে বিমানটির পরিণতি সম্পর্কেও নিশ্চিত হয়ে যায় কর্তৃপক্ষ।
ধারণা করা হচ্ছে, খারাপ আবহাওয়ার কবলে পড়ে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে। উল্লেখ্য, কামচটাকা অঞ্চলটি রাশিয়ার রাজধানী মস্কো থেকে ৯ ঘণ্টার দূরত্বে অবস্থিত। এ অঞ্চলে প্রায় ৩ লাখ মানুষের বাস। ফ্রান্স বা ইউক্রেনের চেয়েও আয়তনে বড় এ উপত্যকা। এ অঞ্চলে ১৬টি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে। ফেডারেল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাজেন্সি জানিয়েছে, বিমানটি ওই অঞ্চলের উপর দিয়ে উড়ার সময় সেখানে ঘন মেঘ ও কুয়াশা ছিল।
অ্যান্টোনভ-২৬ মডেলের দুই ইঞ্জিনের বিমানটি সোভিয়েত ইউনিয়ন আমলের। ১৯৬০ সালে এ মডেলের বিমানের ডিজাইনের পর ১৯৭০ সাল থেকে উৎপাদন শুরু হয়। পরে ১৯৮৬ সালে এ বিমানের উৎপাদন বন্ধ করে রাশিয়া। ওই মডেলের কয়েকশো বিমান এখনও ব্যবহার করছে রাশিয়া, তবে বেশিরভাগই সামরিক বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে।
সারাবাংলা/আইই