Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রাশিয়ার ভ্যাকসিন আসতে পারে এ মাসেই: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
৬ জুলাই ২০২১ ১৯:২৮

ঢাকা: দেশে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলতি মাসেই এসে পৌঁছাতে পারে রাশিয়ায় তৈরি ভ্যাকসিন ‘স্পুটনিক-ভি’। তবে এই ভ্যাকসিন দেশে আসার সুনির্দিষ্ট কোনো তারিখ এখন পর্যন্ত বলতে পারছেন না স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

মঙ্গলবার (৬ জুলাই) সারাবাংলার সঙ্গে আলাপকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, রাশিয়ার ভ্যাকসিন স্পুটনিক ভি দেশে নিয়ে আসার জন্য যেসব কার্যক্রম প্রয়োজন, সেগুলো নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। রাশিয়া থেকে এই ভ্যাকসিন কেনা বিষয়ে আমরা অনেকদিন ধরেই কাজ করছি। কিছু ছোটখাটো ইস্যু বিষয় ছিল, যা আমরা সমাধান করতে পেরেছি। এখন আমরা অপেক্ষায় আছি তারা কখন এবং কী পরিমাণ ভ্যাকসিন দেবে, সেই তথ্য জানার জন্য।

বিজ্ঞাপন

রাশিয়া কর্তৃপক্ষ জানালেই সরকার স্পুটনিক-ভি ভ্যাকসিন কেনার প্রক্রিয়া শুরু করে দেবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, যদি তারা রাশিয়া থেকে ডেলিভারির শিডিউল দেয়, তাহলেই আমরা ভ্যাকসিন কেনার ব্যবস্থা নেব। আমরা এখনো কোনো নির্দিষ্ট তারিখ পাইনি। তবে আশা করছি এ মাসেই ভ্যাকসিন আসবে। তারা যদি ডেলিভারি দিতে পারে, আমরা নিয়ে আসতে পারব।

রাশিয়ার কাছ থেকে স্পুটনিক-ভি ভ্যাকসিন কেনার প্রক্রিয়াটি ঠিক কোন পর্যায়ে আছে— জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ওদের সঙ্গে চুক্তি সইয়ের জন্য যত ধরনের আনুষ্ঠানিকতা, তার সবই করা হয়েছে। দুয়েকটি ইস্যু ছিল। সেগুলোর সমাধান করা হয়েছে। এখন ভ্যাকসিন নিয়ে আসার পর্যায়ে আছে।

রাশিয়া থেকে কী পরিমাণ ভ্যাকসিন আসতে পারে— এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের চাহিদা এক কোটি। আমরা সেটি জানিয়েছি। তবে তারা কী পরিমাণ ভ্যাকসিন দিতে পারবে, সেটি এখনো জানায়নি। তারা কিছু জানালে আমরা বিস্তারিত বলতে পারব। রাশিয়ার ভ্যাকসিন উৎপাদন সক্ষমতা যে অনেক বেশি, তা কিন্তু নয়। ফলে তারা তাদের উৎপাদন সক্ষমতা অনুযায়ী আমাদের কতটুকু দিতে পারবে, সেটি তারা বললে আমরা সেভাবে ব্যবস্থা নেব। দিন, তারিখ এবং পরিমাণ— এগুলো তারা জানালেই সে অনুযায়ী কাজ করার জন্য আমরা প্রস্তুত।

বিজ্ঞাপন

এর আগে, ২৭ এপ্রিল নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশে রাশিয়ার উদ্ভাবিত স্পুটনিক-ভি ভ্যাকসিন জরুরি ব্যবহারে অনুমোদন দেয় ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর। সরকারিভাবেই এই ভ্যাকসিন আমদানি করা ছাড়াও দেশেই এর উৎপাদনের সম্ভাব্যতা নিয়ে আলাপ চলছে বলেও জানানো হয়।

ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান বলেন, ভ্যাকসিন বিষয়ে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের যে টেকনিক্যাল কমিটি আছে, তাদের পরামর্শ অনুযায়ী দেশে জরুরি প্রয়োগের জন্য স্পুটনিক-ভি ভ্যাকসিনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সরকারিভাবে (জি-টু-জি) এই ভ্যাকসিন আমদানির বিষয়ে আলাপ-আলোচনা হবে। এরপর সেটি আমদানি করা হবে। সরকার আলোচনা করে দাম নির্ধারণ করবে।

তিনি আরও বলেন, গত ১২ এপ্রিল এই ভ্যাকসিন ভারতে ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আমরাও এখন দিচ্ছি। আর কেবল ভ্যাকসিন আমদানি নয়, দেশেই উৎপাদনের বিষয়েও কথা চলছে। আমাদের দেশে ইনসেপটা, পপুলার ও হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস ভ্যাকসিন উৎপাদন করে থাকে। ইনসেপটা রাশিয়ার সঙ্গে কথাও বলছে। আশা করা যায়, দেশেই হয়তো এই ভ্যাকসিন উৎপাদন করা সম্ভব হবে।

সারাবাংলা/এসবি/টিআর

করোনাভাইরাস জাহিদ মালেক রাশিয়ার ভ্যাকসিন স্পুটনিক-ভি স্বাস্থ্যমন্ত্রী

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর