বাণিজ্য বাড়াতে পারস্পরিক ব্যবস্থা নেওয়ার তাগিদ ভারতীয় দূতের
৭ জুলাই ২০২১ ২২:২৯
ঢাকা: বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ-পরবর্তী সময়ে দুই দেশের সরকারের সক্রিয় আলোচনার মাধ্যমে সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তির প্রতি গুরুত্ব দিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী। বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য খাদ্য সুরক্ষার মানদণ্ড এবং কারিগরি সুবিধার দ্রুত উন্নয়নের ক্ষেত্রে পারস্পরিক ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়েও গুরুত্বের কথা বলেছেন তিনি।
ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশন বুধবার (৭ জুলাই) রাতে এ তথ্য জানিয়েছে। ভারতীয় হাই কমিশন জানিয়েছে, কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্য রফতানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এপিইডিএ), বাংলাদেশ তাজা ফল আমদানিকারক সমিতি এবং ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি যৌথভাবে বুধবার একটি ভার্চুয়াল সম্মেলন এবং ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য মেলার আয়োজন করে। এ সভায় কৃষিখাদ্য খাতে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে কৌশলগত সহযোগিতা জোরদারে একটি স্বতন্ত্র প্ল্যাটফর্মের জন্য দুই দেশের সংশ্লিষ্ট বাণিজ্য সংস্থা ও মূল অংশীদারদের একত্রিত করা হয়েছিল।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী ২০১১ সাল থেকে সাফটার আওতায় বাংলাদেশের পণ্যগুলোতে শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত বাজার প্রবেশাধিকারের কথা তুলে ধরেন। তিনি আরও বলেন, ভারতের বিশাল ভোক্তা বাজার বাংলাদেশ থেকে মানসম্পন্ন খাদ্যজাত পণ্য রফতানির জন্য বিশাল সুযোগ সরবরাহ করে। এ প্রসঙ্গে দুই দেশের বাণিজ্য সংস্থাগুলোর মধ্যে সংযোগের গুরুত্ব তুলে ধরেন তিনি।
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সভাপতি মো. আলমগীর বলেন, বাংলাদেশ সরকারের দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে পর্যায়ক্রমে বেনাপোল, সুতারকান্দি, বিলোনিয়া ও রামগড় স্থলবন্দর উন্নয়নের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। দুই দেশের স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সুবিধার্থে নির্বিঘ্ন পরিচালনা, যাত্রীদের সুবিধা এবং সময়মতো পণ্য ছাড় করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (আইবিসিসিআই) সভাপতি আবদুল মতলুব আহমদ বলেন, বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে নির্বিঘ্ন পরিবহন যোগাযোগ উভয় পক্ষের জাতীয় আয়কে উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে দিতে পারে বলে সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে। তিনি স্থল শুল্ক স্টেশনগুলোর আইসিডি, কোল্ড স্টোরেজ ও গুদামগুলোর উন্নয়নে বহুপাক্ষিক দাতাদের এবং বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানান।
ভার্চুয়াল কনফারেন্সে এপিইডিএ সভাপতি ড. এম অঙ্গমুথু, বাংলাদেশ তাজা ফল আমদানিকারক সমিতির সভাপতি সলিমুল হক ঈসা, বাংলাদেশের হালাল মাংস আমদানিকারক সমিতির সভাপতি শামীম আহমেদ, ভারতীয় হাইকমিশনের বাণিজ্য প্রতিনিধি ডা. প্রম্যেশ বাসাল, এপিইডিএ পরিচালক ড. তরুণ বাজাজ এবং ভারতীয় হাইকমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।
সম্মেলনে ভার্চুয়াল ক্রেতা-বিক্রেতা সভার জন্য একটি ই-ক্যাটালগ প্রকাশিত হয়। এরপর, ভার্চুয়াল বাণিজ্যমেলা বিটুবি সভা এবং রফতানিকারক এবং আমদানিকারকদের মধ্যে মতবিনিময় হয়। এই সম্মেলনে উভয় দেশের ২০০টিরও বেশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়।
সারাবাংলা/জেআইএল/টিআর