ভৈরব (কিশোরগঞ্জ): নিখোজেঁর এক দিন পর ভৈরবের কালিপুর থেকে মবিন নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মৃতের শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাকে ইলেকট্রিক শক দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মৃত মবিন কালিপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে।
মবিনের বড় বোন সালমাসহ পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করে বলেন, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার দাবি করে মবিনের স্বজনরা জানিয়েছেন, মবিন সিগারেটের দোকানে চাকরি করতেন। প্রতিদিনের ন্যায় মঙ্গলবার চাকরি থেকে ছুটি শেষে বিকেলে বাড়িতে আসেন। পরে রাত ১০ টার দিকে তিনি বাড়ি থেকে বের হন। বের হওয়ার আগে তার মায়ের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হয়। তার মা জব্বার জুট মিলে শ্রমিকের কাজ করেন।
কিন্তু, পরক্ষণেই তার মা মোবাইলে একাধিকবার ফোন করেও মোবাইল ফোন বন্ধ পায়। এরপর থেকে তার সঙ্গে পরিবারের কারো কোনো যোগাযোগ হয়নি।
বুধবার (৭ জুলাই) সন্ধ্যায় প্রতিবেশী বাছির মিয়া গাছ থেকে ঝড়ে পড়া পাতা বাড়ির পাশে চিপায় ফেলতে গিয়ে মরদেহ দেখতে পেয়ে মৃতের পরিবার এবং এলাকাবাসীকে জানালে খবর পেয়ে পুলিশ রাত ১০টায় মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট দেয়।
এ বিষয়ে ভৈরব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী মাহফুজ হাসান সিদ্দীকী সারাবাংলাকে জানান, মরদেহের গায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।