সংক্রমণের নতুন রেকর্ড ১১৬৫১, মৃত্যু ২য় সর্বোচ্চ ১৯৯
৮ জুলাই ২০২১ ১৭:৪৩
ঢাকা: দেশে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণের নতুন রেকর্ড হয়েছে। সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ১১ হাজার ৬৫১টি নমুনায়, যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ সংক্রমণের রেকর্ড। এর আগে গত মঙ্গলবার (৬ জুলাই ) সর্বোচ্চ ১১ হাজার ৫২৫ জনের নমুনা করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছিল।
একই সময়ে দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে মারা গেছেন ১৯৯ জন, যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগে গতকাল ৭ জুলাই একদিনে সর্বোচ্চ ২০১ জন মারা গিয়েছিলেন। এ নিয়ে টানা ১২তম দিনেও দেশে একদিনে করোনায় আক্রান্ত শতাধিক ব্যক্তি মারা গেলেন।
বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানার সই করা কোভিড-১৯ সংক্রান্ত নিয়মিত বুলেটিনে গত ২৪ ঘণ্টার করোনা পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে।
বুলেটিনে জানানো হয়, নমুনা পরীক্ষার জন্য গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে পরীক্ষাগার ছিল ৬০৫টি। এর মধ্যে আরটি পিসিআর ল্যাব ১৩০টি, জিন এক্সপার্ট ল্যাব ৪৮টি ও র্যাপিড অ্যান্টিজেন ল্যাব ৪২৭টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে মোট নমুনা সংগ্রহ করা হয় ৩৮ হাজার ২৪টি। এর মধ্যে নমুনা পরীক্ষা করা হয় ৩৬ হাজার ৮৫০টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৬৮ লাখ ৬৬ হাজার ৬৮২টি। সরকারি ব্যবস্থাপনায় নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা ৫০ লাখ ২১ হাজার ২২১টি, বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা ১৮ লাখ ৪৫ হাজার ৪৬১টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৩১ দশমিক ৬২ শতাংশ। মোট শনাক্তের গড় ১৪ দশমিক ৪১ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৬ দশমিক ৫৭ শতাংশ। শনাক্তের বিপরীতে মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৬০ শতাংশ।
বুলেটিনে আরও জানানো হয়, করোনায় মারা যাওয়া ১৯৯ জনের মধ্যে পুরুষ রোগীর সংখ্যা ১৩৩ জন, নারীর সংখ্যা ৬৬ জন। এ পর্যন্ত দেশে মারা যাওয়া পুরুষ রোগীর সংখ্যা ১১ হাজার ১৩৫ জন, মারা যাওয়া নারী রোগীর সংখ্যা ৪ হাজার ৬৫৭ জন। মৃতদের মধ্যে পুরুষ রোগীর শতকরা হার ৭০ দশমিক ৫১ শতাংশ, নারী ২৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
বয়স বিবেচনায় মৃতদের মধ্যে রয়েছেন ১১ থেকে ২০ বছর বয়সী দুইজন, ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী ৯ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী ৬ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সী ২৮ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সী ৪৭ জন ও ষাটোর্ধ্ব রয়েছেন ১০৭ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন ৬৫ জন, চট্টগ্রামে ৩৭ জন, রাজশাহীতে ১৫ জন, খুলনায় ৫৫ জন, বরিশালে তিনজন, সিলেটে পাঁচজন, রংপুরে ৯ জন, ময়মনসিংহে ১০ জন। এর মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ১৪৫ জন, বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে ৪২ জনের, বাসায় মারা গেছেন ১২ জন।
বুলেটিনে ভ্যাকসিন নিবন্ধন বিষয়ে জানানো হয় গত বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত ভ্যাকসিন নিবন্ধন করেছেন মোট ৭৯ লাখ ৪৮ হাজার ৭০৬ জন। এ পর্যন্ত ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৫৮ লাখ ২০ হাজার ২৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় অক্সফোর্ডের অ্যাস্টেজেনেকা ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৬৫১ জন। এ পর্যন্ত ভ্যাকসিনটির দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৪২ লাখ ৯৩ হাজার ৮৩২ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সিনোফার্মের প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৮ হাজার ৬৯২ জন। এ পর্যন্ত প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১ লাখ ৩ হাজার ৮৮৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় কেউ দ্বিতীয় ডোজ নেন। এ পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণকারীর সংখ্যা ২ হাজার ২৩৭ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ফাইজার ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১ হাজার ৭৫২ জন। এ পর্যন্ত প্রথম ডোজ নিয়েছেন মোট ৬ হাজার ৭৬২ জন।
সারাবাংলা/এসএসএ