দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এখন বাণিজ্যিক পর্যায়ে: ডেনিস রাষ্ট্রদূত
৮ জুলাই ২০২১ ২২:৫২
ঢাকা: গত ৫০ বছরে বাংলাদেশ-ডেনমার্ক সম্পর্ককে মূল্যায়ন করতে গিয়ে ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত উইনি এসতারাপ পিটারসেন বলেছেন, সম্পর্কের শুরুটা অনুদান সহায়তা দিয়ে শুরু হলেও এখন তা বাণিজ্যিক সম্পর্কে উন্নীত হয়েছে। আগামী ৫০ বছরে বাংলাদেশের সঙ্গে শক্তিশালী বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে উঠবে। কারণ ডেনিস সরকার তাদের নতুন কর্মকৌশলে বাংলাদেশকে প্রাধান্য দিয়েছে।
ঢাকার ডেনিস দূতাবাসের আয়োজনে বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) এক ভার্চুয়াল বৈঠকে রাষ্ট্রদূত উইনি এসতারাপ পিটারসেন এমন মন্তব্য করেন। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক যোগাযোগ বা ব্যবসায়ীদের মধ্যে সম্পর্ক গড়তেই ভার্চুয়াল বৈঠকের আয়োজন করা হয়। যেখানে দুই দেশের ৭০ জনেরও বেশি ব্যবসায়ী অংশ নেয়।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সিপিডি’র (সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ) জেষ্ঠ্য গবেষণা ফেলো মো. তৌফিকুল ইসলাম খান বৈঠকে চলতি অর্থ বছরের বাজেট বিশ্লেষণ প্রতিবেদন পাঠ করেন।
রাষ্ট্রদূত উইনি এসতারাপ পিটারসেন বলেন, ‘করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকার কঠোর পরিশ্রম করছে। জনগনকে ভ্যাকসিন সুরক্ষার আওতায় আনতে দেশটির সরকার দিনরাত কাজ করছে। জুলাই পর্যন্ত ৪.৩ মিলিয়ন মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে, যা এই দেশের ৪০ বা তার বেশি জনগোষ্ঠীর নয় শতাংশ। সারাবিশ্বেই এখন ভ্যাকসিন সঙ্কট চলছে। কিন্তু বাংলাদেশ ভ্যাকসিন পাওয়ার জন্য সঠিক পথে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘চলমান করোনা দুর্যোগে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক খাতে যে উন্নয়ন ধরে রেখেছে তা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। এই সময়ে বাংলাদেশে রেকর্ড জিডিপি প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। দেশটির সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক শুরু ১৯৭২ সালে। আগামী নভেম্বরে আমরা সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করব। আমাদের সম্পর্ক উন্নয়ন সহায়তার মধ্য দিয়ে শুরু হলেও গত এক দশকে একাধিক ডেনিস প্রতিষ্ঠান এই দেশে বাণিজ্যিক খাতে বিনিয়োগ করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগামী নভেম্বরে ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে পরিবেশবান্ধব অর্থনীতি (গ্রিন ইকোনমি) নিয়ে বিশেষ প্রদর্শনী থাকবে। যার উদ্দেশ্য হচ্ছে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নত করা। যাতে আগামী ৫০ বছরে দুইদেশ মিলে অর্থনীতিকে পরিবেশবান্ধব (গ্রিন ইকোনমি) অর্থনীতিতে রূপান্তর করতে যৌথভাবে কাজ করতে পারে। এরই মধ্যে পরিবেশবান্ধব অর্থনীতি এগিয়ে নিতে বাংলাদেশে ডেনিস দূতাবাস গ্রিন ক্লাব গঠন করেছে।’
ডেনিস সরকার অল্প কয়েকদিন আগেই তাদের উন্নয়ন নীতির নতুন কর্মকৌশল প্রকাশ করেছে জানিয়ে রাষ্ট্রদূত উইনি এসতারাপ পিটারসেন বলেন, ‘যেখানে বাংলাদেশকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। আমাদের সম্পর্ক এখন সহায়তা থেকে বাণিজ্যিক পর্যায়ে (উইল গো টু এইড টু ট্রেড) উন্নীত হবে। নিজেদের স্বার্থ সমুন্নত রেখে দুই দেশের সম্পর্কের পরিধি আরও বাড়বে এবং ঘনিষ্ঠ হবে।’
সারাবাংলা/জেআইএল/এমও