Thursday 21 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

দেশে এমন ভয়ংকর সপ্তাহ আর আসেনি

সৈকত ভৌমিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১০ জুলাই ২০২১ ২১:২৯

ঢাকা: ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম তিন জনের মাঝে কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এরপরে ২০২১ সালের ১০ জুলাই পর্যন্ত কেটে গেছে ৭০টি সপ্তাহ। ৪ জুলাই থেকে ১০ জুলাই পর্যন্ত সাত দিন সময়ে দেশে দুই লাখ ৭ হাজার ৫৯২টি নমুনা পরীক্ষা করে ৬৪ হাজার ৩৯৮ জনের মাঝে কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এই সাত দিন সময়ে দেশে মারা গেছে এক হাজার ১২৪ জন। এর আগে ৬৯টি সপ্তাহ পার হলেও এত সংক্রমণ শনাক্ত ও মৃত্যুর ভয়াবহ পরিসংখ্যান আগে কখনও দেখা যায়নি।

বিজ্ঞাপন

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে ইতোমধ্যেই গ্রাম অঞ্চলেও কোভিড-১৯ সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য ইতোমধ্যেই দেশে কঠোর বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছে। এটাকে কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করতে না পারলে সামনে হয়তো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাইরে চলে যেতে পারে। বিশেষ করে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার উপরে চাপ পড়বে বেশি। গত সাত দিনের পরিসংখ্যানের মতন ভয়াবহতা এর আগে কখনও দেখা যায়নি। তবে এই ধারা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে ভবিষ্যতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাইরে চলে যেতে পারে। তাছাড়া ঈদুল আজহার সময় কীভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিধিনিষেধ দিয়ে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা যায় তা নিয়েও ভাবতে হবে।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (১০ জুলাই) দেশে ৭০ সপ্তাহ পূরণ হয় প্রথম করোনাভাইরাস সংক্রমণ শনাক্তের। সেদিন স্বাস্থ্য অধিদফতরের ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, ৭০ সপ্তাহ শেষে দেশে করোনাভাইরাসে ১০ লাখ ৯ হাজার ৫৮৫ জনের মাঝে কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এ সময়ে কোভিড-১৯ সংক্রমিত হয়ে দেশে প্রাণ হারিয়েছেন ১৬ হাজার ১৮৯ জন। সবশেষ শনিবারের তথ্যানুযায়ী সংক্রমণ শনাক্তের তালিকায় যুক্ত হয়েছেন আরও আট হাজার ৭৭২ জন, মৃতের তালিকায় যুক্ত হয়েছেন আরও ১৮৫।

২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ শনাক্তের পরে গুনে গুনে পেরিয়ে গেছে ৭০টি সপ্তাহ। জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে সংক্রমণ শনাক্তের হার কমে আসলেও মার্চ মাস থেকে এই হার বাড়তে থাকে। ৫৯তম সপ্তাহ (১৮ এপ্রিল থেকে ২৪ এপ্রিল) পর্যন্ত দেশে সংক্রমণ শনাক্তের হার ১৫ শতাংশের উপরেই থাকে। পরবর্তী সময়ে এটি কিছুটা কমে আসতে থাকলেও ৬৭ তম সপ্তাহে দেশে সংক্রমণ শনাক্তের হার আবার ছাড়িয়ে যায় ১৬ শতাংশের বেশি।

শুধু তাই নয়, দেশে ৬৮ ও ৬৯ তম সপ্তাহে সংক্রমণ শনাক্তের হার থাকে ২০ শতাংশের উপরে। ৭০তম সপ্তাহে এই সংক্রমণ শনাক্তের হার ছাড়িয়ে যায় ৩১ শতাংশ।

কোভিড-১৯ পরিস্থিতির সাপ্তাহিক পরিসংখ্যান

স্বাস্থ্য অধিদফতরের কোভিড-১৯ সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, শুরুর দিকে এই ভাইরাসের সংক্রমণের গতি ছিল একেবারেই ধীর। যত সময় পার হয়েছে, ততই বেড়েছে সংক্রমণের গতি। ৮ মার্চ যে প্রথম তিন জনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়, ওই দিন থেকে হিসাব করলে প্রথম সপ্তাহে (৮ মার্চ থেকে ১৪ মার্চ) আর কারও শরীরে এই ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়নি।

এরপর দ্বিতীয় সপ্তাহের ঠিক প্রথম দিন, ১৫ মার্চ গিয়ে করোনা পজিটিভ হন আরও দু’জন। ওই সপ্তাহে (১৫ মার্চ থেকে ২১ মার্চ) মোট ২১ জনের শরীরে কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্ত হয়। তৃতীয় সপ্তাহে (২২ মার্চ থেকে ২৮ মার্চ) এই সংখ্যা ছিল ২৪ জন। চতুর্থ সপ্তাহে (২৯ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল) সংক্রমণ একটু কমেও যায়। সে সপ্তাহে ২২ জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হন নমুনা পরীক্ষায়। চার সপ্তাহ মিলিয়ে সংক্রমণ শনাক্ত হয় ৭০টি।

সপ্তাহভিত্তিক তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, চতুর্থ সপ্তাহের তুলনায় পঞ্চম সপ্তাহে (৫ এপ্রিল থেকে ১১ এপ্রিল) সংক্রমণের গতি হঠাৎ করেই বেড়ে যায়। চতুর্থ সপ্তাহে যেখানে ২২ জন করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছিলেন, সেখানে পঞ্চম সপ্তাহে এই সংখ্যা ছিল ৪১২! এরপর প্রতিটি সপ্তাহেই এমন উল্লম্ফনের ধারাবাহিকতা অব্যাহত ছিল। যেমন ষষ্ঠ সপ্তাহে (১২ এপ্রিল থেকে ১৮ এপ্রিল) সংক্রমণ শনাক্ত এক লাফে পেরিয়ে যায় দেড় হাজার— সংখ্যাটি ছিল এক হাজার ৬৬২।

একই ধারাবাহিকতায় সপ্তম সপ্তাহে (১৯ এপ্রিল থেকে ২৫ এপ্রিল) সংক্রমণ শনাক্ত হয় ২ হাজার ৮৫৪টি, অষ্টম সপ্তাহে (২৬ এপ্রিল থেকে ২ মে) ৩ হাজার ৭৯২ ও নবম সপ্তাহে (৩ মে থেকে ৯ মে) এই সংখ্যা ছিল ৪ হাজার ৯৮০। দশম সপ্তাহে (১০ মে থেকে ১৬ মে) ৭ হাজার ২২৫টি কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্ত হয় সারাদেশে।

১২তম সপ্তাহ (২৪ মে থেকে ৩০ মে) থেকে দেশে সংক্রমণ শনাক্তের হার ছাড়িয়ে যায় ২০ শতাংশ। ১৯ তম সপ্তাহে (১২ জুলাই থেকে ১৮ জুলাই) দেশে সর্বোচ্চ সংক্রমণ শনাক্তের হার দেখা যায় সাপ্তাহিক তথ্য বিবেচনায়। এই সপ্তাহে দেশে ২৪ দশমিক ৫৭ শতাংশ সংক্রমণ শনাক্ত হয়।

২৫তম সপ্তাহ (২৩ আগস্ট থেকে ২৯ আগস্ট) থেকে দেশে সংক্রমণ শনাক্তের হারে নিম্নগতি দেখা যায়। ৪১তম সপ্তাহে (১৩ ডিসেম্বর থেকে ১৯ ডিসেম্বর) দেশে সংক্রমণ শনাক্তের হার ১০ এর নিচে নেমে আসে।

৫৫তম সপ্তাহে (২১ মার্চ থেকে ২৭ মার্চ) দেশে আবার সংক্রমণ শনাক্তের হার ১০ শতাংশের উপরে ওঠে। ৫৭ তম সপ্তাহে (৪ এপ্রিল থেকে ১০ এপ্রিল) দেশে আবার সংক্রমণ শনাক্তের হার ২২ শতাংশের উপরে ওঠে, তবে ৬১ তম সপ্তাহে (২ মে থেকে ৮ মে) দেশে সংক্রমণ শনাক্তের হার কমে এলেও ৬৫তম সপ্তাহে এটি আবার ১০ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়। ৬৬ তম সপ্তাহে তারই ধারাবাহিকতায় বাড়তে থাকে।

৬৮তম সপ্তাহে দেশে সংক্রমণ শনাক্তের হার ছিল ২০ শতাংশের বেশি। ২০ জুন থেকে ২৬ জুন পর্যন্ত সাত দিন সময়ে দেশে এক লাখ ৭৯ হাজার ৪৭ টি নমুনা পরীক্ষা করে ৩৬ হাজার ৭৩৮ জনের মাঝে কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এই সাত দিনে দেশে ৬৩৪ জন কোভিড-১৯ সংক্রমিত হয়ে মারা যায়।

৬৯তম সপ্তাহে দেশে সংক্রমণ শনাক্তের হার ২৬ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়। ২৭ জুন থেকে ৩ জুলাই পর্যন্ত সাত দিন সময়ে দেশে দুই লাখ ১৬ হাজার ৭৭৯ টি নমুনা পরীক্ষা করে ৫৬ হাজার ৭৮১ জনের মাঝে কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এই সাত দিনে দেশে ৮৯৩ জন কোভিড-১৯ সংক্রমিত হয়ে মারা যায়।

তবে ৭০ তম সপ্তাহের সপ্তম দিন বাদে বাকি ছয়দিনই ছিল ভীতিকর পরিসংখ্যানে পূর্ণ। এই সপ্তাহে দেশে ৬৯তম সপ্তাহের তুলনায় কম নমুনা পরীক্ষা হলেও বেড়ে যায় সংক্রমণ শনাক্তের সংখ্যা। এ সপ্তাহে দেশে ৬৪ হাজার ৩৯৮ জনের মাঝে কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্ত হয়। এ সপ্তাহের সাত দিনে দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমিত হয়ে মারা গেছে এক হাজার ১২৪ জন। এর আগে কোনো সপ্তাহে এতো বেশি সংক্রমণ শনাক্ত ও মৃত্যুর সংখ্যান দেখা যায়নি। এই সাত দিনে দেশে সংক্রমণ শনাক্তের হার ছিল ৩১ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ। এর আগে কোনো সপ্তাহে এতো বেশি সংক্রমণ শনাক্তের হার ছিল না দেশে।

দেশে ৬৯ তম সপ্তাহের তুলনায় ৯ হাজার ১৮৭টি নমুনা পরীক্ষা কম হলেও এই সাতদিনে আগের সপ্তাহের তুলনায় অতিরিক্ত সাত হাজার ৬১৭ জনের মাঝে কোভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্ত হয়। ৬৯তম সপ্তাহের তুলনায় দেশে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ে ২৩১টি। ৭০তম সপ্তাহে দেশে ৩৮ হাজার ৯৪০ জন সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরে গেছেন।

বর্তমান পরিস্থিতি উদ্বেগজনক

অতীত পরিসংখ্যান বলছে, দেশে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে সংক্রমণ শনাক্তের হার বেড়ে যাওয়ার ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে সামনের সপ্তাহগুলোতে সংক্রমণ শনাক্তের পরিমাণ লাগামহীনভাবে বাড়তে পারে।

পরিসংখ্যান বলছে, দেশে ২০২১ সালের মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই সংক্রমণ শনাক্তের হার বাড়তে থাকে দ্রুতগতিতে। পরে এপ্রিল মাসে দেশে সর্বোচ্চ সংক্রমণ, মৃত্যুর পরিসংখ্যান দেখা যায়। তবে এপ্রিল মাসের পরিসংখ্যান ছাড়িয়ে দৈনিক, সাপ্তাহিক ও মাসিক সংক্রমণ শনাক্তের সংখ্যা ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যায় জুন ও জুলাইয়ে।

জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মুশতাক হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, ‘বিভিন্ন কারণেই সংক্রমণ বাড়তে পারে। সংক্রমণ বেশি তখনই হবে, যখন বেশি বেশি মানুষ এই ভাইরাসের সামনে ‘এক্সপোজড’ হবেন। দেশের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে সংক্রমণের হার বাড়ছিল। ধীরে ধীরে তা অন্য এলাকাতেও ছড়িয়েছে। আর তাই সংক্রমণ শনাক্তের হার বাড়ছে।’

তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি না মানলে সংক্রমণ বাড়বেই। তাই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিতে হবে। সংক্রমণের উৎস ও উৎপত্তিস্থল বিশ্লেষণ করে তারপর সেই পদক্ষেপ নিতে হবে।’

সরকারের আরোপ করা কঠোর বিধিনিষেধের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ডা. মোশতাক বলেন, ‘সরকার দেশব্যাপী কিছু বিধিনিষেধ দিয়েছে, যা সবাই অনুসরণ করেছেন— এটি বলা যায় না। এর মধ্যে যেসব এলাকায় সংক্রমণ বাড়ছে সেসব স্থানে নতুন করে বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে । তবে এক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপের পাশাপাশি সবাইকে মাস্ক পরায় উৎসাহিত করতে হবে। একই সঙ্গে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়েও সবাইকে বোঝাতে হবে। এটা আইন প্রয়োগ করে সম্ভব হবে না। কারণ আইন সেখানেই প্রয়োগ করা যায় যেখানে সবাই সেটা মানে। তাই কঠোর হয়ে নয়, মানুষকে বোঝাতে হবে স্বাস্থ্যবিধি মানা বিষয়ে। একই সঙ্গে যেসব অস্বচ্ছল পরিবারের সদস্যদের মাঝে সংক্রমণ শনাক্ত হবে তাদের প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে নিতে হবে।’

শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ভাইরোলজিস্ট ডা. মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান খান সারাবাংলাকে বলেন, ‘বিগত সাতদিনের মতো সংক্রমণ শনাক্তের সংখ্যা ও মৃত্যুর আগে আমাদের দেশে পাওয়া যায়নি। তাই এটা ভয়াবহ একটা সপ্তাহ হিসেবেই বিবেচনা করছি। বর্তমানে আমাদের দেশে কিন্তু গ্রামেও সংক্রমণ শনাক্তের হার বাড়ছে। আর এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে খুব দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘দেশে যেহেতু আমাদের সামাজিক সংক্রমণ আগে থেকেই ছিল তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে সংক্রমণ শনাক্তের সংখ্যা বাড়াটা স্বাভাবিক। নমুনা পরীক্ষায় অনীহা ও দেরিতে চিকিৎসকের শরনাপন্ন হওয়ার কারণে মৃত্যুও বাড়ছে। এমন অবস্থায় আসলে সমাধান একটাই। আর তা হলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। বিধিনিষেধের প্রভাবে সংক্রমণ পরিস্থিতিতে কিছুটা উন্নতি দেখা যেতে পারে। কিন্তু এর জন্য প্রয়োজন মানুষকে সচেতন করে নমুনা পরীক্ষায় উদ্বুদ্ধ করানো। তখন যদি সবাইকে দ্রুত চিকিৎসা ব্যবস্থার আওতায় আনা যায় তবে মৃত্যুও অনেকটা কমবে। তবে মাস্ক পরে স্বাস্থ্যবিধি মানতেই হবে সবাইকে।’

ঢাকা মেডিকেল কলেজের ভাইরোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. নুসরাত সুলতানা লিমাও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণেই জোর দিতে বলছেন সবাইকে। সারাবাংলাকে তিনি বলেন, ‘দেশে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে প্রধানতম করণীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। বিশেষ করে মাস্ক পরার অভ্যাসটা চালু করা। কেউ মাস্ক পরে যদি বাইরে যান, তিনি হাঁচি-কাশি দিলেও কিন্তু মাস্ক তার কাছ থেকে ভাইরাস ছড়ানোর সম্ভাবনা কমিয়ে দেবে। সেইসঙ্গে অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করলে তার কাছ থেকে ভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কা একেবারেই কমে যাবে। ফলে স্বাস্থ্যবিধিটা সবাইকে মানতেই হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।

সারাবাংলা/এসবি/পিটিএম

ভয়ংকর সপ্তাহ

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর