Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সড়কে মানুষের উপস্থিতি ও যান চলাচল বাড়ছেই

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১০ জুলাই ২০২১ ২২:২৭

ঢাকা: কঠোর বিধিনিষেধের ১০ম দিনে রাজধানীর সড়কে মানুষ ও যানবাহনের চলাচল প্রায় স্বাভাবিক হয়ে আসছে। এদিন রাজধানীর বেশ কয়েকটি সড়ক ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। রাস্তায় প্রচুর ব্যক্তিগত গাড়ির পাশাপাশি পণ্যবাহী যান ও পথচারীদের নির্বিঘ্নে চলাচল করতে দেখা যায়। সড়কে যানবাহন ও মানুষের উপস্থিতির পাশাপাশি ফুটপাতে প্রচুর পরিমাণে দোকানপাট বসতেও দেখা গেছে।

শনিবার (১০ জুলাই) রাজধানীর কল্যাণপুর, শ্যামলী, শেরেবাংলা নগর, শিশুমেলা, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপপাতাল ও আসাদগেট এলকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

বিজ্ঞাপন

সকালে সড়কে যানবাহনের প্রচুর চাপ দেখতে পাওয়া যায়। আর দুপুরে যানবাহনের আধিক্য কিছুটা কমলেও বিকেলের দিকে আবার যানবাহনের চাপ বেড়ে যায়। কিছু কিছু সড়কে ট্রাফিক পুলিশের উপস্থিতি থাকলেও তাদের খুব বেশি তৎপর হতে দেখা যায়নি। তবে কিছু কিছু স্থানে সেনাবাহিনী ও বিজিবির টহল দেখা গেছে। তবে সব রাস্তায় বিনা বাধায় প্রচুর রিকশা চলাচল করছে।

সকাল সাড়ে নয় টায় শ্যামলীর শিশুমেলায় যানবাহনের জট তৈরি হয়। এ সময় ট্রাফিক পুলিশকে বেশ তৎপর হয়ে উঠতে দেখা যায়। পরে পঙ্গু হাসপাতালের সামনেও গিয়েও রিকশার জট দেখতে পাওয়া যায়। রাস্তায় প্রচুর মানুষকে চলাচল করতে দেখা গেছে।

এ সময় বেশ কয়েকজন পথচারীর সঙ্গে কথা হয়। নিপা বেগম নামে এক পথচারী সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমার মা সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি। তাই উনার কাছে যাচ্ছি। মা ‍অসুস্থ না থাকলে বের হতাম না।’

রুহুল আমিন এক নির্মাণ শ্রমিক সারাবাংলাকে বলেন, ‘করোনার কারণে বেকার হয়ে গেছি। এখন যাইতেছি কল্যাণপুর, ভাইয়ের কাছে টাকা চাইতে। লকডাউনের কারণে মামমাল আনায় খরচ বাড়তি বলে ভবনের মালিক কাজ বন্ধ করে দিছে। পরিবার নিয়ে খেয়ে পড়ে বাঁচাটাই কঠিন হয়ে গেছে।’

বিজ্ঞাপন

দুপুরর দেড়টা। রাজধানীর মানসিক হাসপাতালের সামনে যাত্রীর অপেক্ষায় মাস্ক ছাড়া বসে আছে রিকশাচালক ফজলু মিয়া। তার কাছে মাস্ক না পরার কারণ জিজ্ঞেস করলে তিনি সারাবাংলাকে বলেন, ‘মাস (মাস্ক) আছে। পকেটে রাখছি। যাত্রী পাইলে মাস (মাস্ক) পইড়্যা রিকশা চালাইমো। এখন গরম লাগতাছে তাই মাস (মাস্ক) খুইল্যা রাখছি।’

দুপুর ২টার পর কল্যাণপুর ও শ্যামলী এলাকায় স্বাভাবিকভাবে সড়কে যান চলাচল করতে দেখা যায়। শ্যামলীতে দায়িত্বপালনরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্য আ. মান্নান সারাবাংলাকে বলেন, ‘এখন রাস্তায় অল্প সংখ্যক যানবাহন চলাচল করছে। সড়কে রিকশার উপস্থিতি বেশি। বিনা প্রয়োজনে বের হওয়া যানবাহনকে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’

বেলা তিনটার দিকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের সামনের সড়কে পুলিশের চেকপোস্টে গাড়ি থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে দেখা যায়। এ সময় বেশকয়েকটি যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়। সেখানে দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জন আমির সারাবাংলাকে বলেন, ‘সড়কে যানবাহনের পরিমাণ কম। তারপরও বিনা প্রয়োজনে বের হওয়া যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। রাস্তায় মানুষের চলাচল আছে। তবে পণ্যবাহী যানবাহন স্বাভাবিকভাবে চলছে। ‍বিনা প্রয়োজনে বের হওয়া যানবাহন আমরা ফিরিয়ে দিচ্ছি।’

সারাবাংলা/কেআইএফ/পিটিএম

আপডেট কঠোর বিধিনিষেধ

বিজ্ঞাপন

মাদকের টাকার জন্য মা'কে খুন
২৩ নভেম্বর ২০২৪ ০৮:৫৭

আরো

সম্পর্কিত খবর