Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সেজান জুস কারখানায় শ্রমিক হত্যার বিচার করতে হবে: বামজোট

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১০ জুলাই ২০২১ ২২:৪২

ঢাকা: নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সেজান জুস কারখানায় আগুনে পুড়ে সরকারি হিসেবে ৫২ জন শ্রমিক নিহত হওয়াকে ‘রাষ্ট্রীয় কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড’ বলে চিহ্নিত করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। এর দায়ে কারখানা মালিক ও কলকারখানা পরিদর্শককে গ্রেফতার ও বিচার এবং নিহত শ্রমিকের আজীবন আয়ের সমান ক্ষতিপূরণ দেওয়া, আহতদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছে।

শনিবার (১০ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সমাবেশ থেকে এই দাবি জানানো হয়। বাম গণতান্ত্রিক জোট কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সমন্বয়ক ও বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশীদ ফিরোজ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ আলম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, বাসদ (মার্কসবাদী)’র কেন্দ্রীয় নেতা মানস নন্দী, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পদক মোশরেফা মিশু, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের সভাপতি হামিদুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভুইয়া।

বিজ্ঞাপন

সমাবেশে নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘রানা প্লাজা, তাজরীন, টাম্পাকোর পর আবারও মালিকের অতি মুনাফার লোভী ও রাষ্ট্রীয় অবহেলার নির্মম শিকার হয়ে সেজান জুস কারখানায় সরকারিভাবে ঘোষিত ৫২ জন শ্রমিক আগুনে পুড়ে নিহত হয়েছেন। সরকারি ২৭টি প্রতিষ্ঠান থেকে অনুমোদন সাপেক্ষে কারখানা করার আইন থাকলেও ৬ তলা কারখানা ভবন নির্মাণে কোনো বিল্ডিং কোড মানা হয়নি। গেট খোলা থাকার কথা থাকলেও তা তালা বন্ধ ছিল, নিয়ম ভেঙে কারখানা ভবনেই কেমিক্যালসহ দাহ্য পদার্থ গুদামজাত করা ছিল।’

বিজ্ঞাপন

৪ তলার গেট খোলা থাকলে হয়তো অধিকাংশ শ্রমিক বাঁচতে পারতো উল্লেখ করে তারা বলেন, ‘শিশু শ্রম নিষিদ্ধ থাকার পরও আইনের লংঘন করে ১২ বছর থেকে ১৭ বছর পর্যন্ত শিশু কিশোর শ্রমিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এত সব অনিয়ম দেখার দায়িত্ব ছিল রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান কল-কারখানা পরিদর্শন অফিসের। অথচ তারা কারখানা পরিদর্শন করেনি। ফলে এটি একটি রাষ্ট্রীয় অবহেলা-গাফিলতিজনিত কাঠামোগত হত্যাকাণ্ড।’

নেতারা অবিলম্বে সেজান জুসের শ্রমিক হত্যার দায়ে কারখানা মালিক এম এ হাসেম, সংশ্লিষ্ট কারখানা পরিদর্শকসহ দায়ীদের গ্রেফতার ও বিচার এবং নিহত সকল শ্রমিককে আই এল ও কনভেনশন ১২১ অনুযায়ী আজীবন আয়ের সমান ক্ষতিপূরণ ও আহতদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করার দাবি জানান।

না হলে, বাম গণতান্ত্রিক জোট দেশব্যাপী দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তারা।

সারাবাংলা/এএইচএইচ/এমও

শ্রমিক হত্যা সেজান জুস কারখানা

বিজ্ঞাপন

খেজুর আমদানিতে শুল্ক কমলো
২২ নভেম্বর ২০২৪ ২১:০৮

আরো

সম্পর্কিত খবর