সবাইকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে ২০২৪ সাল লেগে যাওয়ার আশঙ্কা
১১ জুলাই ২০২১ ২০:২৮
ঢাকা: বিদেশ থেকে ভ্যাকসিন আমদানির যে গতি তাতে সবাইকে এর আওতায় আনতে গেলে ২০২৪ সাল পর্যন্ত লেগে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। কমিটির বৈঠকে ভ্যাকসিন আমদানির সার্বিক প্রক্রিয়া নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে। বৈঠকে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি ‘কোভিশিল্ড’ টিকা সেপ্টেম্বরে আসার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
রোববার (১১ জুলাই) জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে ভ্যাকসিন কার্যক্রমে গতি আনার সুপারিশ করা হয়। কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে সদস্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম, নুরুল ইসলাম নাহিদ, গোলাম ফারুক খন্দকার প্রিন্স, আব্দুল মজিদ খান, মো. হাবিবে মিল্লাত ও নিজাম উদ্দিন জলিল (জন) এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে কমিটি সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভ্যাকসিনের এখনকার গতি নিয়ে সন্তুষ্টির কিছু নেই। ভ্যাকসিন আনার অগ্রগতি নিয়ে আমরা আগেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছি। যেরকম আমরা জেনেছি, প্রতিমাসে গড়ে ৫০ লাখের মতো ভ্যাকসিন আসতে পারে। সেই হিসেবে ১২ থেকে ১৩ কোটি মানুষের জন্য ২৬ কোটি ডোজ লাগবে। তাহলে দেশের বেশিরভাগ মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে ২০২৪ সাল লেগে যাবে।’
ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে কবে নাগাদ ভ্যাকসিন আসবে?- সে বিষয়ে সংসদীয় কমিটির বৈঠকে আলোচনা হয়েছে কি না? জানতে চাইলে ফারুক খান বলেন, ‘ভারতের সিরামের সঙ্গে আমাদের যে চুক্তি হয়েছে সেই চুক্তির আওতায় আগামী সেপ্টেম্বরে তারা আমাদের ভ্যাকসিন পাঠাতে চেয়েছে।’
গত মে মাসে সংসদীয় কমিটির বৈঠকে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছিল। বিষয়টি রোববারের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে কি না- জানতে চাইলে ফারুক খান বলেন, ‘মন্ত্রণালয় আমাদের জানিয়েছে, ভারত দুঃখ প্রকাশ করেছে।’
সারাবাংলা/এএইচএইচ/পিটিএম