Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

লুট করতে এসে কেয়ারটেকারকে খুন করে সাবেক গাড়িচালক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১৩ জুলাই ২০২১ ২১:০৭

ঢাকা: রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকায় গত ১১ জুলাই কেয়ারটেকার সুবল হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে উত্তরা পুলিশ। গ্রেফতার দুজন হলেন- মাসুদ রানা ও মিজানুর রহমান।

মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) উত্তরা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম তার কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন।

সাইফুল ইসলাম প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘গত ১১ জুলাই উত্তরা পশ্চিম থানার ৩ নম্বর সেক্টরের ১০ নম্বর বাড়ির কেয়ারটেকার সুবল চন্দ্র পাল (৪৪) খুন হন। এ খুনের ঘটনায় থানা পুলিশের পাশাপাশি সিআইডি, পিবিআইসহ একাধিক সংস্থা ছায়া তদন্ত শুরু করে। পুলিশ ঘটনার দুই দিনের মধ্যে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে হত্যাকাণ্ডের মূল হোতাসহ রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়। উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশের একটি দল ১২ জুলাই রাতে সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে খুনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ জড়িত মাসুদ ও মিজানকে গ্রেফতার করে।’

হত্যাকাণ্ডের মোটিভ সম্পর্কে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘গ্রেফতার মাসুদ ওই বাসায় ড্রাইভার হিসেবে কর্মরত ছিল। দেড় মাস আগে সে চাকরি ছেড়ে সিরাজগঞ্জ চলে যায়। সেখানে একটি লুঙ্গি কারখানায় মাইক্রোবাসের চালক হিসেবে কাজ নেয়। মাসুদ ওই বাসায় কাজ করার সময় প্রায়ই ভিকটিমের রুমে ইয়াবা সেবন করত ও নারী নিয়ে এসে কক্ষটি ব্যবহার করত। প্রাথমিকভাবে তাদের পরিকল্পনা ছিল, গভীর রাতে দারোয়ানকে হাত-পা বেঁধে জিম্মি করে রাখবে। বাড়ির মালিক ফজরের নামাজ পড়তে মসজিদে যাওয়ার সময়ে তারা বাসায় ঢুকে বাড়ির সদস্যদের জিম্মি করে সবকিছু লুট করবে।’

বিজ্ঞাপন

উপ-পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘সেই মোতাবেক মাসুদ ভিকটিম সুবলের সঙ্গে যোগাযোগ করে। পূর্ব পরিচয়ের সূত্র ধরে মাসুদ ভিকটিমকে জানায় সে ও তার চাচাতো ভাই ঢাকায় এসে রাতে তার কক্ষে থাকবে। সেই মোতাবেক ১০ জুলাই দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় গ্রেফতারকৃতরা কেয়ারটেকারের রুমে প্রবেশ করে। সেখানে সে ইয়াবাও সেবন করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী রাত আনুমানিক সাড়ে তিনটায় ঘুমন্ত সুবলের হাত-পা বাঁধার চেষ্টা করলে সে জেগে উঠে। এ সময় মাসুদ রুমে থাকা একটি ধারালো কাঁচি ভিকটিমের গলায় ধরে তাকে চুপ থাকতে বলে।’

প্রেস ব্রিফিংয়ে সাইফুল ইসলাম জানান, গ্রেফতার মিজান ভিকটিমের গলায় নাইলনের রশি পেঁচিয়ে ধরলে ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে মাসুদ কেয়ারটেকারের গলায় ধারালো কাঁচিটি ঢুকিয়ে দেয়। এতে রক্তক্ষরণ শুরু হলে মিজান ও মাসুদ ভিকটিমের গলা চেপে ধরে মৃত্যু নিশ্চিত করে। মৃত্যু নিশ্চিত করার পর গ্রেফতারকৃতরা শক্ত করে ভিকটিমের হাত-পা বাঁধে। এর পর তারা রুমের বাইরের পানির ট্যাপে গিয়ে শরীরে থাকা রক্তের ছাপ ধুয়ে ফেলে। পরে গ্রেফতারকৃতরা মালিকের বাসায় লুটের পরিকল্পনা বাদ দিয়ে ওই স্থান ত্যাগ করে। এবং সেখান থেকে তারা বিভিন্ন যানবাহন ব্যবহার করে নিজ গ্রাম সিরাজগঞ্জ চলে যায়।

সারাবাংলা/ইউজে/পিটিএম

কেয়ারটেকার খুন টপ নিউজ সাবেক গাড়িচালক

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর