Saturday 23 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

গ্রেফতার এড়াতে ওরা নিজেদের শরীর রক্তাক্ত করে!

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৪ জুলাই ২০২১ ২০:১৭

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে ছয় সদস্যের একটি ছিনতাইকারী গ্রুপকে দলনেতাসহ গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, কোরবানির গরুর বাজারকে সামনে রেখে সক্রিয় হয়ে ওঠা এই চক্রটি ছিনতাইয়ের জন্য ভয়ংকর কৌশল অবলম্বন করে। ছিনতাইয়ের জন্য টার্গেট করা ব্যক্তিকে শুরুতেই এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত, আবার পুলিশ কিংবা জটলা দেখলে নিজেদের রক্তাক্ত করে আতঙ্ক তৈরি করা তাদের কৌশল।

মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) রাতে নগরীর ডবলমুরিং থানা এলাকা থেকে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেছে।

বিজ্ঞাপন

গ্রেফতার ছয়জন হলো- মো. জাহাঙ্গীর ওরফে গাল কাটা জাহাঙ্গীর (২৫), মো. ইমন শরীফ (১৯), সাইফুল প্রকাশ সুমন (২৪), মো. মনির (২১), নজরুল আহমেদ সাগর (২০) এবং সাইদুর রহমান ইবু (২২)।

ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন সারাবাংলাকে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে নগরীর আগ্রাবাদে সিঅ্যান্ডএফ টাওয়ারের পাশে বাংলদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেড অফিসের প্রধান ফটকের সামনে থেকে ইমন, সুমন ও মনিরকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় দলনেতা জাহাঙ্গীর ওরফে গাল কাটা জাহাঙ্গীরসহ আরও দুইজনকে। গ্রেফতার এড়াতে জাহাঙ্গীর ব্লেড দিয়ে নিজের জিহ্বা কেটে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।

জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওসি মহসীন বলেন, ‘গ্রেফতার ছয়জনের পাঁচজন নগরীর বিভিন্নস্থানে কখনও এককভাবে, কখনও আবার সংঘবদ্ধ হয়ে চুরি-ছিনতাই করে। এবার তারা কোরবানির গরুর বাজারকে সামনে রেখে এক হয়ে ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা নিয়েছিল। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যেসব গরুর বেপারি আসবেন তাদের ও ক্রেতাদের টার্গেট করে ছিনতাইয়ের কৌশল সাজিয়েছিল। চাঁদপুর থেকে আসা সাইফুল সুমনকেও তাদের দলে নেয়।’

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, চট্টগ্রামে ছোট-বড় ৭টি গরুর হাট থাকলেও এর মধ্যে সাগরিকা এবং বিবিরহাট সবচেয়ে বড় বাজার। আর এ দুই বাজার ঘিরেই প্রতিবছর সবচেয়ে বেশি ছিনতাই এবং টাকা লুটের ঘটনা ঘটে।

গ্রেফতার ছয়জনের বিষয়ে ওসি মহসীন আরও বলেন, ‘জাহাঙ্গীর তাদের দলনেতা। এর আগেও পুলিশের সামনে সে নিজের জিহ্বা কেটেছিল। এজন্য তাকে এলাকায় সবাই গালকাটা জাহাঙ্গীর হিসেবে চেনে। তারা ছিনতাই করতে গিয়ে বাধা পেলে অথবা শুরুতেই তাদের যদি মনে হয় আতঙ্কের পরিস্থিতি তৈরি করা প্রয়োজন, তারা টার্গেট করা ব্যক্তিকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে। পুলিশ দেখলে নিজের শরীরে ছুরিকাঘাত করতেও তারা দ্বিধা করে না। চক্রের প্রত্যেক সদস্য একাধিকবার গ্রেফতার হয়ে জেলে ছিল। প্রত্যেকের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।’

সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম

ছিনতাইকারী

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর