বিধিনিষেধ শিথিল: প্রস্তুত হচ্ছে লঞ্চ
১৪ জুলাই ২০২১ ২৩:৫৮
ঢাকা: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে বিধিনিষেধের মধ্যে টানা বন্ধ ছিল লঞ্চ চলাচল। ঈদুল আজহা সামনে রেখে সেই বিধিনিষেধ শিথিলের সিদ্ধান্তের পর লঞ্চও নামনে যাচ্ছে নদীতে। আর সে কারণেই লঞ্চগুলোও যাত্রার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। এরই মধ্যে সেগুলো ধোয়া-মোছার কাজ চলছে। দীর্ঘ দিন চলাচলের মধ্যে না থাকায় লঞ্চগুলোতে কোনো সমস্যা আছে কি না, তাও দেখা হচ্ছে।
বুধবার (১৪ জুলাই) মধ্যরাত থেকেই শিথিল হচ্ছে কঠোর বিধিনিষেধ। এসময় থেকেই লঞ্চ চলাচল শুরুর কথা জানিয়েছিল বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআইডব্লিউটিএ।
গত ১৩ জুলাই বিআইডব্লিউটিএ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে বুধবার (১৪ জুলাই) মধ্যরাত থেকেই দেশের সব রুটে যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল শুরু হবে। চলবে ২৩ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত।
ঢাকা-বরিশাল রুটের সুন্দরবন-১০ লঞ্চের শ্রমিক শাকিল আহমেদ জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাদের লঞ্চ ছেড়ে যাবে। সেজন্য ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার করে যাত্রী পরিবহনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে।
কীর্তনখোলা লঞ্চের শ্রমিক মিলন খান জানান, মালিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। তাছাড়া ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী পরিবহনের নির্দেশনা রয়েছে সরকারের। সেভাবেই প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে সুরভী নেভিগেশনের নির্বাহী পরিচালক এবং বাংলাদেশ লঞ্চ মালিক সমিতির পরিচালক রিয়াজ-উল কবির সারাবাংলাকে বলেন, সরকারের দিকনির্দেশনা মেনেই লঞ্চ পরিচালনা করা হবে।
এবার করোনায় অনেক বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েছেন বলে জানান রিয়াজ-উল কবির। তিনি বলেন, সারাবছর লঞ্চ চলাচল করলেও তাদের মূল ব্যবসাই হয় বছরের দুই ঈদে। করোনাভাইরাসের কারণে সেই ব্যবসা মার খেয়েছে। ফলে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা দিতে নাভিশ্বাস পরিস্থিতি। তবু স্বাস্থ্যবিধি মেনেই তারা লঞ্চ পরিচালনা করবেন।
এদিকে, বুধবার সকালে সদরঘাট পরিদর্শন করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, লঞ্চে চলাচল করা সব যাত্রীকে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে এবং মাস্ক না পরলে যাত্রীদের জরিমানা করা হবে।
সারাবাংলা/জেআর/টিআর