Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বাণিজ্যমেলা: ৩ কোটির পরামর্শক ব্যয় হচ্ছে ৪৭ কোটি টাকা

জোসনা জামান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৫ জুলাই ২০২১ ১০:৩৪

ঢাকা: রাজধানীতে স্থায়ী বাণিজ্যমেলা কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ছে ২ বছর। সেইসঙ্গে প্রকল্পের পরামর্শক ব্যয় ৩ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হচ্ছে ৪৭ কোটি টাকা। এই বাড়তি ব্যয়ের প্রস্তাবকে অত্যাধিক বলে মনে করছেন পরিকল্পনা কমিশনের প্রতিনিধি।

‘বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সজিবিশন সেন্টার’ শীর্ষক প্রকল্পের জন্য এই প্রস্তাব করা হয়েছে। গত ১৬ জুন অনুষ্ঠিত বিভাগীয় প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (ডিপিইসি) সভায় এ প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ। সভার কার্যবিবরণী সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

বিজ্ঞাপন

সভার কার্যবিবরণীতে বলা হয়, প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা নতুন ৬ দশমিক ১০ একর জমিতে দেশের নিজস্ব অর্থায়ন ও নিজস্ব প্ল্যানে নতুন অবকাঠামো তৈরি করা হবে। প্রকল্পে ৫ প্রকার পরামর্শকের খসড়া টিওআর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্প্রতি অনুমোদিত হয়েছে। প্রকল্পের আরডিপিপি প্রণয়নের সময় পরামর্শক নিয়োগের ব্যয় সম্পর্কে সংশ্লিষ্টদের বাস্তবমুখী ধারনা ছিল না। ফলে পরামর্শক অংশে ৩ কোটি টাকা সংস্থান রাখা হয়। কিন্তু বর্তমানে প্রকল্পের অনুকূলে নতুন বরাদ্দ করা জমিতে যে সকল নতুন অবকাঠামো নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে সেগুলোর প্ল্যান ও ডিজাইন প্রণয়ন, নির্মাণ ব্যয় প্রাক্কলন, নির্মাণ ঠিকাদার মনোনয়নে সহযোগিতাকরণ, নির্মিতব্য অবকাঠামোগুলোর পুরো সময়কালে নির্মাণকাজ সুপারভিশন ও আনুষঙ্গিক অন্যান্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ নেওয়ার জন্য যে সকল পরামর্শক নিয়োগ করতে হবে, তাদের ব্যয় নির্বাহের জন্য আনুমানিক ৪৭ কোটি টাকার প্রয়োজন হবে।

বিজ্ঞাপন

সভায় অংশ নেওয়া পরিকল্পনা কমিশনের প্রতিনিধি বলেন, পরামর্শক প্রতিষ্ঠান বাবদ ৩ কোটি টাকার পরিবর্তে ৪৭ কোটি টাকার সংস্থান রাখা হয়েছে। এক্ষেত্রে পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের প্রাক্কলিত ব্যয় অত্যাধিক পরিমাণে বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে।

সভায় প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা ইপিবির (রফতনি উন্নয়ন ব্যুরো) ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান বলেন, প্রকল্পের আওতায় নতুন সংস্থান করে ৬ দশমিক ১০ একর জমিতে নির্মিতব্য অবকাঠামোর ডিজাইন, ড্রইং ও সংশ্লিষ্ট কার্যাদি সম্পাদন করার জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করা প্রয়োজন। পরামর্শক নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়া প্রকল্পের বাস্তবায়ন মেয়াদ দুই বছর বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।

ডিপিইসি সভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) জানান, প্রকল্পটির মোট ব্যয় ৭৯৬ কোটি ১ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ১৩৮ কোটি ১৮ লাখ টাকা, চীনের অনুদান ৬২৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা এবং ইপিবির নিজস্ব ৩২ কোটি ১৩ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ২০১৫ সালের জুলাই হতে ২০১৮ সালের জুনে বাস্তবায়নের জন্য ২০১৫ সালের ৪ আগস্ট অনুষ্ঠিত একনেক সভায় অনুমোদিত হয়। প্রকল্পের প্রথম সংশোধিত ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) মোট এক হাজার ৩০৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা ( সরকারি ৪৭৫ কোটি টাকা, চীনের অনুদান ৬২৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা এবং ইপিবির নিজস্ব ২০২ কোটি ৮০ লাখ ) টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ২০১৫ সালের জুলাই হতে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে বাস্তবয়নের জন্য ২০১৮ সালের ১৭ জুলাই একনেক সভায় অনুমোদিত হয়। এরপর মন্ত্রণালয় ২০২০ সালের ৪ নভেম্বর ব্যয় বৃদ্ধি ছাড়া প্রকল্পের বাস্তবায়ন মেয়াদ চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করে।

আইএমইডির প্রতিনিধি বলেন, সরকারি খাতে উন্নয়ন প্রণয়ন, প্রক্রিয়াকরণ, অনুমোদন ও সংশোধন পদ্ধতি সংক্রান্ত পরিপত্র ২০১৬ সালের অক্টোবরের অনুচ্ছেদ ১৬ দশমিক ১১ অনুযায়ী আন্তঃঅঙ্গ ব্যয় সমন্বয়ের প্রস্তাব ডিপিইসি ডিএসপিইসি এর সুপারিশ করে একবার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী অনুমোদন করতে পারবেন।

সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) বলেন, এ প্রকল্পের ক্ষেত্রে এর আগেই আন্তঃঅঙ্গ ব্যয় সমন্বয় করা হয়নি। সেক্ষেত্রে প্রথমবার ব্যয় সমন্বয়ের প্রস্তাব অনুমোদন যোগ্য।

সারাবাংলা/জেজে/এএম

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে তরুণের মৃত্যু
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২২:১০

উর্মিলার সংসার ভেঙে যাওয়ার কারণ
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২১:০২

নতুন পরিচয়ে কুসুম সিকদার
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:৫৭

সম্পর্কিত খবর