প্রথম দিনেই সদরঘাটে উপচে পড়া ভিড়
১৫ জুলাই ২০২১ ১৩:৪৭
ঢাকা: টানা ২১ দিনের কঠোর বিধিনিষেধের পর বুধবার (১৪ জুলাই) গভীর রাত থেকে শুরু হয়েছে লঞ্চ চলাচল। বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) ভোর রাতে সদরঘাট থেকে বিভিন্ন রুটে ছেড়ে গেছে বেশ কিছু লঞ্চ। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ছেড়ে আসা একাধিক লঞ্চ সকালবেলা ভিড়েছে সদরঘাট পল্টুনে। বিধিনিষেধ শিথিলের প্রথম দিনেই লঞ্চ টার্মিনালে দেখা গেছে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা থেকে বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশে লঞ্চঘাটে এসে জড় হয়েছেন হাজারো মানুষ। এদের কেউ চাঁদপুর, কেউ বরিশাল, কেউ পটুয়াখলী, কেউ হাতিয়া, কেউ বা ভোলার উদ্দেশে রওনা হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন। ভোর ছয়টার দিকে এমভি হাসান লঞ্চে কয়েকশ’ যাত্রী চাঁদপুরের উদ্দেশে রওনা দেন। বিধি-মোতাবেক অর্ধেক যাত্রী বহন করতে দেখা গেছে এমভি হাসানকে। তবে সদরঘাটে এসে নোঙ্গর করা লঞ্চে যাত্রীর সংখ্যা ছিল একটু বেশি।
এদিকে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টি নিশ্চিত করতে তৎপর রয়েছে নৌপুলিশ। মধ্যরাত থেকেই সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে অতিরিক্ত নৌ-পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। লঞ্চে অর্ধেক যাত্রী নিশ্চিত করা এবং যাত্রীদের মাস্ক পরার বিষয়টি কঠোরভাবে মনিটরিং করছেন তারা। মাস্ক ছাড়া কোনো যাত্রী টার্মিনালে প্রবেশ করতে পারছে না।
নৌ-পুলিশের সদস্য মো. ইকরাম হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছি সবার স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে। তবে মানুষের চাপ বাড়লে স্বাস্থ্যবিধি পুরোপুরি নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে যায়। এ ব্যাপারে প্রত্যেককে নিজ নিজ অবস্থান থেকে চেষ্টা করতে হবে। আমরা কেবল আমাদের দায়িত্বটুকু পালন করতে পারি।’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিজানুর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, বুধবার গভীর রাত থেকেই লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। আজ সকাল থেকে এটি স্বাভাবিক সময়ের মতো চলছে। তবে এখন পর্যন্ত কী পরিমাণ লঞ্চ ছেড়ে গেছে এবং কী পরিমাণ লঞ্চ ঘাটে এসে ভিড়েছে, সেই তথ্য আমাদের কাছে আপডেট নেই। পড়ে এটা জানানো যাবে।
স্বাস্থ্যবিধি এবং ঘাটের শৃঙ্খলা বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটা পুরোপুরি দেখভাল করছে নৌ-পুলিশ। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ তাদের দেওয়া আছে।’
এর আগে মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) পরিচালক (নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগ) মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই সকাল ছয়টা পর্যন্ত ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে এবং প্রত্যেক যাত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে মাস্ক পরিধান ও সব স্বাস্থ্যবিধি মেনে নৌযান পরিচালনা করা যাবে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, ২৩ জুলাই সকাল ছয়টা থেকে ৫ আগস্ট দিনগত রাত ১২টা পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ নৌপথে সব ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান (লঞ্চ, স্পিডবোট, ট্রলার অন্যান্য) চলাচল বন্ধ থাকবে৷
সারাবাংলা/এজেড/এএম