ঢাকা: দেশে নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে জাতীয় পর্যায়ে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম চলছে। বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিভিন্ন পেশাজীবী, শিক্ষার্থী ও প্রবাসীকর্মীদের পাশাপাশি ৩৫ বছর বা তার বেশি বয়সীদের বর্তমানে ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য নিবন্ধন চলছে। তবে ভ্যাকসিনের জন্য ন্যূনতম বয়সসীমা কমিয়ে ১৮ বছর করার কথা ভাবছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) রাজধানীর মহাখালীতে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনসে (বিসিপিএস) ঢাকা মেডিকেল কলেজের আইসিইউ ও বহির্বিভাগ উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনার ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে বয়সসীমা কমানোর ব্যাপারে চিন্তাভাবনা চলছে। স্কুল কলেজ খোলার স্বার্থেই ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন আওতায় আনা হবে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে করোনাবিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি এ ব্যাপারে সরকারের কাছে পরামর্শ দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনাও হয়েছে। শিগগিরই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত আসবে।
এর আগে বুধবার (১৪ জুলাই) কোভিড-১৯ মোকাবিলায় গঠিত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি এক বিবৃতিতে ভ্যাকসিন গ্রহীতাদের বয়সসীমা ১৮’তে নামিয়ে আনার ব্যাপারে সুপারিশ করে।
বিবৃতিতে ভ্যাকসিনের আওতায় দ্রুত আরও বেশি মানুষকে আনতে ভ্যাকসিন গ্রহীতাদের বয়সসীমা ১৮’তে নামিয়ে আনা, এনআইডিবিহীন জনসাধারণকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা, রেজিস্ট্রেশন সহজীকরণের বিষয়ে সরকারকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার অনুরোধ করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ৭ ফেব্রুয়ারি দেশে জাতীয় পর্যায়ে ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম শুরু হয়। ২৬ জানুয়ারি থেকে ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য নিবন্ধন শুরু হয় সুরক্ষা প্লাটফর্মে। ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য প্রথমে ন্যূনতম ৪০ বছর বয়সসীমা নির্ধারণ করা হয়। পরবর্তীতে ৭ জুলাই নতুন করে নিবন্ধন শুরুর সময় তা কমিয়ে ৩৫ বছর করা হয়।