Friday 27 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

যাবজ্জীবন মানে ৩০ বছর কারাবাস— পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
১৬ জুলাই ২০২১ ০২:০৬

ঢাকা: যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে ৩০ বছর পর্যন্ত কারাভোগ করতে হবে— এমন রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। তবে কোনো রায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড উল্লেখ থাকলে তখন ওই আসামিকে আমৃত্যু কারাবাস করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) এই ব্যাখ্যা দিয়ে আপিল বিভাগের ১২০ পৃষ্ঠার এ রায় সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতি সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে এ রায় দেওয়া হয়েছে। রায়ে প্রধান বিচারপতিসহ ছয়জন বিচারপতি যাবজ্জীবন করাদণ্ড অর্থ ৩০ বছরের কারাদণ্ডের পক্ষে একমত হয়েছেন। তবে বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী বলেছেন, যাবজ্জীবন সাজা অর্থ আমৃত্যু কারাদণ্ড।

আদালত তার রায়ে বলেন, প্রাথমিকভাবে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বলতে বোঝায় দণ্ডিত ব্যক্তির স্বাভাবিক মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত পুরো সময় কারাবাস। দণ্ডবিধির ৪৫ ও ৫৩ ধারার সঙ্গে ৫৫ ও ৫৭ ধারা এবং ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৫-এ একসঙ্গে পড়া হলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বলতে ৩০ বছর কারাদণ্ড বোঝায়। তবে যদি কোনো আদালত, ট্রাইব্যুনাল এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ‘আমৃত্যু’ কারাদণ্ড দেন তাহলে ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৫-এ এর বিধানটি (৩০ বছরের কারাদণ্ড) এ ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন ও আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ।

আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘রায়ে আপিল বিভাগ বলেছেন যাবজ্জীবন বলতে একজন মানুষের স্বাভাবিক জীবন যতদিন, ততদিন কারাদণ্ড হবে। কিন্তু আইনের বিধান অনুযায়ী, একজন যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামিকে কমপক্ষে ৩০ বছরের সাজা ভোগ করতে হবে। সে ক্ষেত্রে আসামি আইনের অন্যান্য রেয়াত পাবে, যদি না আদালত বিশেষভাবে আদেশ দেন যে তাকে আমৃত্যু জেলে থাকতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০১ সালে সাভারে জামান নামের এক ব্যক্তিকে হত্যা মামলায় আতাউর মৃধাসহ দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে ২০০৩ সালের ১৫ অক্টোবর রায় দেন দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল। এই রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা হাইকোর্টে আপিল করেন। শুনানি নিয়ে ২০০৭ সালের ৩০ অক্টোবর রায়ে হাইকোর্ট দু’জনের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা আবারও আপিল করেন।

পরে ২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের দেওয়া রায়ে দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই সঙ্গে আদালত যাবজ্জীবন মানে আমৃত্যু কারাবাসসহ সাত দফা অভিমত দেয়।

এরপর আসামি আতাউর মৃধা আপিল বিভাগের ওই অভিমতের রিভিউ (পুনর্বিবেচনার) চেয়ে আবেদন করেন। ওই আবেদনের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০২০ সালের ১ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে পুনর্বিবেচনার আবেদন নিষ্পত্তি করে এই রায় দেন সর্বোচ্চ আদালত।

সারাবাংলা/কেআইএফ/পিটিএম

৩০ বছর কারাবাস টপ নিউজ যাবজ্জীবন

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

২৪ বলে ০ রানে জাকিরের লজ্জার রেকর্ড
২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৫:১৮

সম্পর্কিত খবর