আওয়ামী লীগ নেতা হত্যা: আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল
১৬ জুলাই ২০২১ ১০:০৬
ঢাকা: ঢাকার শ্যামপুরের আওয়ামী লীগ নেতা ও ব্যবসায়ী ফরিদ উদ্দিন সরকার হত্যার দায়ে জসিম উদ্দিন খানের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ছয় বিচারপতির বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান। রাষ্ট্রপক্ষের ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ।
মামলার বিবরণে জানা যায়, রাজধানীর শ্যামপুরের রায়েরবাগ বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন নিজ মালিকানাধীন তমা হোটেলে (সুইট, ফাস্টফুড অ্যান্ড মিনি চাইনিজ) ২০০৮ সালের ১৩ আগস্ট সকালে সন্ত্রাসীদের গুলিতে খুন হন ফরিদউদ্দিন সরকার। এ ঘটনায় ফরিদের স্ত্রী সুরাইয়া খানম শ্যামপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় স্থানীয় সন্ত্রাসী রোজেনসহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়। আর জসিমকে গ্রেফতার করা হয় ২০০৯ সালের ১৪ জানুয়ারি। পরে রোজেন ক্রসফায়ারে নিহত হন। পরবর্তী সময়ে তদন্ত শেষে পুলিশ রোজেন গ্রুপের ছয় সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
এ মামলায় বিচার শেষে ২০১০ সালের ২৮ এপ্রিল ঢাকার আদালত এক রায়ে জসিম ও কামাল হোসেন ওরফে বিপ্লব ওরফে পাভেলকে মৃত্যুদণ্ড দেন। আর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় জাকির, রনি আহমেদ, রাজিব শেখ ওরফে ইব্রাহিম ও তোফাজ্জলকে খালাস দেওয়া হয়। তবে এ রায়ের আগেই কামাল জামিন নিয়ে পালিয়ে যান।
রায়ের পর নিম্ন আদালত থেকে হাইকোর্টে ডেথ রেফারেন্স পাঠানো হয়। আর কারাবন্দি জসিম জেল আপিল করেন। দুই আবেদনের ওপর শুনানি শেষে হাইকোর্ট ২০১৬ সালের ২ এপ্রিল এক রায়ে জসিম ও কামালের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে আবারও আপিল বিভাগে আবেদন করেন জসিম। এ আপিলের ওপর শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ জসিমের ফাঁসি বহাল রাখলেন।
সারাবাংলা/কেআইএফ/টিআর