ফের বিপদসীমার উপরে তিস্তার পানি, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
১৬ জুলাই ২০২১ ২২:০৫
লালমনিরহাট: ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তার পানি আবারও বেড়েছে। ভারি বর্ষণে তিস্তা অববাহিকায় আবারও প্লাবিত হয়েছে ৬৩টি চরের নিম্নাঞ্চল।
শুক্রবার (১৬ জুলাই) রাত ৮টায় তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা তিস্তা ব্যারেজের ডালিয়া পয়েন্টে পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২.৬৮ সেন্টিমিটার, যা বিপদসীমার ৮ সেন্টিমিটার উপরে।
এদিকে ব্যারেজ রক্ষায় ৪৪টি গেট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এই নিয়ে চলতি মাসের ১৫ দিনে তৃতীয় দফায় তিস্তার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করল।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র জানায়, গত বুধবার ১৪ জুলাই রাত থেকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় পানি ৫২.৬৮ সেন্টিমিটার প্রবাহিত হয় যা বিপদসীমার ৮ সেন্টিমিটার উপরে।
জানা যায়, তিস্তা ব্যারেজ এলাকায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ইতিমধ্যে তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলও ফের ডুবে গেছে। পানি বৃদ্ধির ফলে আবারও পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম, হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডীমারী, সিঙ্গীমারী, সিন্দুনা, পাটিকাপাড়া ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈলমারী, নোহালী, চরবৈরাতী, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের চোরাহা, দক্ষিণ বালাপাড়া, কুটিরপাড়, চর গোবরধন, এবং সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুন্ডা ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল্লা আল মামুন বলেন, ‘তিস্তার পানি বিপদসীমার ৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ভারত থেকে প্রচন্ড গতিতে পানি বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে। এ কারণে পানির চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ব্যারেজের ৪৪টি গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। আরও কি পরিমান পানি আসবে তা ধারণা করা যাচ্ছে না।
হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সামিউল আমিন জানান, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজন হলেই ত্রাণ বিতরণ করা হবে।
সারাবাংলা/এমও