আঞ্চলিক ভূ-রাজনীতির স্বার্থেই রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে হবে
১৬ জুলাই ২০২১ ২৩:২৫
আঞ্চলিক ভূ-রাজনীতির স্বার্থে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সম্মানের সঙ্গে প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত ও দ্রুত বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট বিষয়ক এক ওয়েবিনারে বক্তারা এই আহ্বান জানান। তারা বলেন, ‘নিজ দেশ মিয়ানমারে নির্যাতনের শিকার হয়ে নতুন করে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রবেশের পঞ্চম বছরে পদার্পণ করেছে। তাদের ক্রমাগত প্রবেশ বাংলাদেশের উপর অতিরিক্ত চাপের। তাই বাংলাদেশ ও বিশ্ব সম্প্রদায়কে রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট সমাধানের জন্য দীর্ঘ ও উপযোগী পরিকল্পনা নিতে হবে।’
বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) ইনোভিশন কনসাল্টিং প্রাইভেট লিমিটেড, আইসিসিইও বাংলাদেশ ও কেয়ার বাংলাদেশ আয়োজিত এক ওয়েবিনারে এসব বক্তব্য উঠে আসে। ইন্টিগ্রেটেড ডায়লগ ক্যাম্পেইন ‘বাংলাদেশ মিরাকল’ সিরিজের অংশ হিসেবে এই প্রকল্প পরিচালিত হচ্ছে ।
অনুষ্ঠানে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসরিয়াল ফেলো শহীদুল হক বলেন, ‘রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট কোনো একক ঘটনা নয়। বিশ্বে এটি একটি মানবিক দুর্যোগ, মানবাধিকারের বিপর্যয় এবং কিছু ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থ পূরণের অংশ। জাতিসংঘ মিয়ানমারের গণহত্যা বন্ধ করতে ও সংকট মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়েছে যে সংকট পূর্বাভাসযোগ্য ছিল কিন্তু তা স্বত্বেও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। বাংলাদেশ সরকার ও তার জনগণ এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতা রক্ষার্থে দেশের মধ্যে বিতাড়িত রোহিঙ্গা সম্প্রদায়কে আশ্রয় ও সহায়তা দেওয়ার মাধ্যমে মূখ্য ভূমিকা রেখেছে।’
বাংলাদেশে ইউএনএইচসিআর-এর প্রতিনিধিত্বকারী জোহানেস ভ্যান ডের ক্লাউ বলেন, ‘রোহিঙ্গা শরণার্থীদের শিক্ষার অধিকার ও কাজের অধিকার দেওয়ার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ।’
ইউএসএআইডির বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রতিক্রিয়ায় উপদেষ্টা ডা. মার্শা মিশেল বলেন, ‘কক্সবাজার ও ভাসানচর শরণার্থী ক্যাম্পে ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতি সম্পর্কে উদ্বেগ রয়েছে।’ এ বিষয়ে নতুন পরিকল্পনার প্রয়োজনীয়তার ওপর তিনি জোর দেন।
ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের ডেপুটি ইমার্জেন্সি কো-অরডিনেটর কোজিরো নাকাই বলেন, ‘মানবিক সহায়তা প্রদানকারী সংগঠন ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে ভালো সম্পর্ক এই সংকট নিরসনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’ তিনি কক্সবাজারের হোস্ট কমিউনিটি এই সংকটের কারণে যে প্রভাবিত হচ্ছে তার গুরুত্ব সম্পর্কেও বলেন।
‘বাংলাদেশ মিরাকল’ সিরিজটি একটি সমন্বিত ক্যাম্পেইন, যার আয়োজন করা হয়েছে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে। এই সিরিজে ইনোভিশন কন্সালটিং লিমিটেডের পার্টনার হিসেবে আরও আছে উইন্ডমিল অ্যাডভারটাইজিং, সারাবাংলা ডট নেট, কালারস ১০১.৬ এফএম, ফাইনানশিয়াল এক্সপ্রেস, নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যায়ের অর্থনীতি বিভাগ ও ইয়াং ইকোনমিস্টস ফোরাম, পাঠাও, অ্যাঙ্করলেস বাংলাদেশ, প্রিন্টাগ্রাফি, কেয়ার বাংলাদেশ, আইসিসিও বাংলাদেশ, গেইন বাংলাদেশ, ওয়াটারএইড বাংলাদেশ, নেক্সটজেনএডু, সিমপ্রিন্টস, বিআইআইডি এবং এম পাওয়ার।
সারাবাংলা/আরএফ